সেনা সদস্য হেনস্তা সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে অপব্যাখ্যা: ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির অপপ্রয়াসে সতর্ক সেনাসদর
![]()
নিউজ ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রশাসনিক চিঠি ঘিরে ব্যাপক আলোচনা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। উক্ত চিঠিতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে সেনা সদস্যদের হেনস্তার অভিযোগসমূহ চিহ্নিত করে একটি তালিকা আহ্বানের কথা উল্লেখ ছিল। বিষয়টি নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ায় সেনা সদর থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সেনা সদর জানিয়েছে, চিঠিটি প্রকৃতপক্ষে ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি তথা বিডিআর বিদ্রোহ-পরবর্তী তদন্তের অংশ হিসেবে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন এর চাহিদার প্রেক্ষিতে তথ্য সরবরাহের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়েছিল। মূলত কমিশনের অনুসন্ধান কার্যক্রমে সহায়তার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তবে সেনা সদর আরো জানায়, পরবর্তীতে যেকোনো ভুল ব্যাখ্যা বা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এড়াতে চিঠির কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়। এটি ছিল একটি অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অংশ, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
সেনা সদর অভিযোগ করেছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ ঘটনাকে অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক অনাস্থা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। অথচ বাস্তবতা হলো, উভয় বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করে আসছে, এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পেশাগত সৌহার্দ্য।
সেনা সদর থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা প্রচারমাধ্যমে এই বিষয়ে বিভ্রান্তিকর, বিভাজনমূলক বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে।
প্রসঙ্গত, পিলখানা হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়, যার তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া এখনও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই প্রেক্ষিতেই সেনা সদর কেবল তথ্য সহায়তা দান করছিল বলে সূত্র জানায়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।