সেনাবাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপ, রাজধানীতে হত্যাকান্ডের ৯০ মিনিট পরই অস্ত্রসহ খুনি আটক

সেনাবাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপ, রাজধানীতে হত্যাকান্ডের ৯০ মিনিট পরই অস্ত্রসহ খুনি আটক

সেনাবাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপ, রাজধানীতে হত্যাকান্ডের ৯০ মিনিট পরই অস্ত্রসহ খুনি আটক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের দেড় ঘণ্টার মধ্যেই সেনাবাহিনীর আজিমপুর আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল অভিযানে নেমে অস্ত্রসহ তারেক (২২) নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি।

সেনা সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে দুর্বৃত্তরা পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে সোহাগকে। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করতেন।

ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। আজিমপুর আর্মি ক্যাম্পের টহল দল সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকা তরুণ তারেককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তার মোবাইলে একটি অস্ত্রসহ ভিডিও পাওয়ার পর তিনি স্বীকার করেন যে ঘটনার সময় তিনি অস্ত্র বহন করছিলেন।

পরে তারেকের দেখানো মতে মিটফোর্ড কলোনির একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয় ইতালির তৈরি ৭.৬২ মি.মি. একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি। এরপর তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, সোহাগ হত্যাকাণ্ডে তারেকের সম্পৃক্ততা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্তে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জনি ও মঈন নামে আরও দুজনকে আটক করে। স্থানীয়রা জানান, আটক মঈন চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন এবং এলাকার ফুটপাত, হাসপাতাল ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলতেন।

নিহতের বন্ধু মামুন জানান, গত কয়েক মাস ধরে মঈন সোহাগের কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এবং টাকা না দেওয়ায় সোহাগকে হত্যার হুমকি দেন। বুধবার সন্ধ্যায় একা পেয়ে মঈন ও তার সহযোগীরা মিলে সোহাগকে মারধর করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।

ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, “ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়, তবে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed