গোপালগঞ্জে সহিংসতা-প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করল সরকার
![]()
নিউজ ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। কমিটির অন্য দুই সদস্য হিসেবে থাকছেন দুইজন অতিরিক্ত সচিব। তাদের একজন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের, আরেকজন আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের। কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। যেকোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনানুগভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই গোপালগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বুধবার শহরের পৌর পার্ক মাঠে এনসিপির কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) গাড়িতে হামলা হয়। বেলা দেড়টার দিকে পৌর পার্কের মঞ্চে সমাবেশ শুরুর আগে হামলা হয়। কিছুক্ষণ বাদে সেখানে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ ও সেনা পাহারায় মাদারীপুরের দিকে রওনা দিলে লঞ্চঘাট এলাকায় হামলার মুখে পড়েন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির শব্দে গোটা গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের পর অন্তত চারজনের লাশ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকালে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তাতেও কাজ না হলে সন্ধ্যার পর জারি করা হয় কারফিউ।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।