পার্বত্য চুক্তি ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধনের দাবি নাগরিক পরিষদের

পার্বত্য চুক্তি ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধনের দাবি নাগরিক পরিষদের

পার্বত্য চুক্তি ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধনের দাবি নাগরিক পরিষদের
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রযোজ্য বৈষম্যমূলক আইনসমূহ সংশোধনে অন্তবর্তী সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সংগঠনের প্রতিনিধি সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা আবু বকর, মোরশেদা আক্তার, খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন এবং রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহিম। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম উদ্দিন।

বক্তারা বলেন, অন্তবর্তী সরকারের এক বছর পার হলেও পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং জেলা পরিষদ ও পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডে বাঙালিদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বঞ্চিত রেখে উন্নয়ন কাঠামোতে বৈষম্য বজায় রাখা হয়েছে।

তারা অভিযোগ করেন, “জুলাই বিপ্লবের” পর জনগণ আশাবাদী হলেও বাস্তবে সরকারের পার্বত্য বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্য এবং সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের পক্ষ থেকে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য আসছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই পাহাড়ে বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণে উদ্যোগ না নেয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে জনমত গড়ে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, এবং বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক বৈষম্য নিরসনের দাবি উঠছে। নাগরিক পরিষদ সেই দাবি তুলে ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।