খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ, ইউপিডিএফকে দায়ী করল সম-অধিকার আন্দোলন

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ, ইউপিডিএফকে দায়ী করল সম-অধিকার আন্দোলন

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ, ইউপিডিএফকে দায়ী করল সম-অধিকার আন্দোলন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রতি সংঘটিত দুটি ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম সময়-অধিকার আন্দোলন’ অভিযোগ করেছে, আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউপিডিএফ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের জেলা সভাপতি মোশারফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় স্কুলছাত্রী মেনোকা ত্রিপুরাকে ঘিরে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা এবং মানিকছড়ির ছদরখিল মাদ্রাসার ছাত্র মো. সোহেল হত্যাকাণ্ড—এই দুটি ঘটনাই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, মেনোকার ঘটনা মূলত একটি প্রেমঘটিত আত্মহত্যা চেষ্টা, যার সঙ্গে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ নেই। অথচ ঘটনার ২০ দিন পর, ১৭ জুলাই হঠাৎ করে চারজন বাঙালি যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়, যা একটি পক্ষের অপপ্রচারের অংশ বলে দাবি করেন তিনি।

সম-অধিকার আন্দোলনের নেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় পাহাড়ি পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইউপিডিএফ ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে। এদিকে মানিকছড়ির সোহেল অপহরণের ১২ দিন পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয় বাটনাতলী ইউনিয়নের এক ছড়া থেকে। সংগঠনের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা থেকে দৃষ্টি সরাতেই ইউপিডিএফ একই দিনে ধর্ষণের ইস্যু সামনে আনে।

মোশারফ হোসেন বলেন, “সোহেল হত্যার বিচার ও প্রকৃত ঘটনা তদন্তের দাবি চাপা দিতেই এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ইউপিডিএফ পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

সংগঠনটি ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে, যার মধ্যে রয়েছে ভাইবোনছড়ার ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত, সোহেল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, পাহাড়ে উসকানিমূলক প্রচারণা বন্ধ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং সামাজিক মাধ্যমে বাঙালিদের ‘ধর্ষক’ হিসেবে উপস্থাপন বন্ধে পদক্ষেপ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সহ-সভাপতি অশোক মজুমদার এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জহির আহমেদ।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রতি সংঘটিত কিছু ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্যও নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিশেষ করে ইউপিডিএফসহ আঞ্চলিক অস্ত্রধারী গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়ভাবে উদ্বেগ বাড়ছে।