পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি নিয়ে রাঙামাটিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি নিয়ে রাঙামাটিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি নিয়ে রাঙামাটিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির দশম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (১৯ জুলাই) রাঙামাটির ভেদভেদীস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় আয়োজিত এই প্রথম বৈঠকে পার্বত্য চুক্তির অগ্রগতি, বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম ও উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “সমস্যা স্বীকার না করলে সমাধান সম্ভব না। চুক্তির অনেক ধারা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, তা সত্য। তবে আমরা ছোটখাটো বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছি এবং জটিল ইস্যুগুলোর জন্য যৌথভাবে সমাধানের পথ খুঁজছি।”

তিনি আরও জানান, “ভূমি সংক্রান্ত ইস্যু এবং অবাস্তবায়িত ধারাসমূহ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুতই পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে।”

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি নিয়ে রাঙামাটিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “এই সভা পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে, সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে স্থায়ী শান্তি সম্ভব।”

তিনি জানান, বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুপারিশ দেবে কমিটি এবং প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হবে।

জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা সভাকে ‘আন্তরিক ও ফলপ্রসূ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে অনেক অগ্রগতি সম্ভব। তবে পূর্ণ বাস্তবায়নে এখনো মৌলিক কিছু বিষয়ের সমাধান প্রয়োজন।”

সভার আলোচনায় বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভূমি বিরোধ, প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন, এবং পার্বত্য অঞ্চলের সাম্প্রতিক সার্বিক পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ধারা বাস্তবায়নে গঠিত কমিটি নতুন করে পুনর্গঠন এবং কার্যক্রম শুরুর ফলে পার্বত্য শান্তি প্রক্রিয়া আবারও আলোচনায় এসেছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।