শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ ৩ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ ৩ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ ৩ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে একজন ভারতীয় নাগরিক ও দুই বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ভারতের মোস্তফাপুর সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের শালকোনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।

ফেরত আসা ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার ডুমুরিয়া থানার শেখপাড়া এলাকার মৃত শহিদ শেখের ছেলে শাহিন শেখ (৩০) ও সাগর শেখ (২৮) এবং তাদের সঙ্গে আসা আনোয়ার হোসেন (২৫) ভারতের আসাম রাজ্যের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়া থানার ভৌতিচর গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে।

শার্শা থানা পুলিশ জানায়, গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রাতে টহল দেওয়ার সময় সীমান্তের নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে তিন জনকে আসতে দেখে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, বিএসএফ তাঁরকাটা পার করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে তাদের। পরে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

ফেরত আসা শাহিন শেখ জানান, তারা দুই ভাই ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। ৫ অগাস্ট ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের সীমান্তে নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ক্যাম্পে আটকে রাখার পর শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তাদের সীমান্ত পার করে দেয় বিএসএফ। পরে আটক করে পুলিশ।

তবে তাদের সঙ্গে থাকা ভারতীয় নাগরিক সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহিন শেখ বলেন, ‘আমরা তাকে চিনি না। বিএসএফ ক্যাম্পে তার সঙ্গে দেখা হয়।’

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রাতে টহল দেওয়ার সময় ওই তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা জানান, বিএসএফ তাদের কাঁটাতারের বেড়া পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। পরে তাদের থানায় নেওয়া হয়। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শালকোনা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার শরিফ কবির আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।