বান্দরবানে অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে সেনাবাহিনীর ৭ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স
![]()
নিউজ ডেস্ক
বান্দরবানে অসহায় ও দুঃস্থ রোগীদের নিয়মিত বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়ে আসছে সেনাবাহিনীর এমডিএস, ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স। শুধু চিকিৎসা ও ওষুধ নয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হলে অনেক রোগীকে নগদ অর্থ সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরণের মানবিক সহায়তা পেয়ে স্থানীয় বাঙালিদের পাশাপাশি দুর্গম পাড়ার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাসিন্দারাও খুশি।
সরেজমিনে জানা গেছে, বান্দরবানে সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এমডিএস, ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন, রবিবার ও বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব রোগীর জটিল রোগের জন্য চট্টগ্রাম বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন, তাদের নগদ আর্থিক সহায়তাও দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
এ কারণে শুধু বান্দরবান সদর নয়, আশপাশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে মারমা, ত্রিপুরা, বম, ম্রো, খুমীসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসছেন। একসময় অর্থের অভাবে যারা চিকিৎসা করতে পারতেন না, তারা এখন এমডিএস ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের শরণাপন্ন হচ্ছেন।

চিকিৎসা নিতে আসা নুরুল ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন জানান, তার স্ত্রী ক্যানসারে আক্রান্ত। প্রথমে বান্দরবানের এমডিএস ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা নেওয়ার পর ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতার কারণে তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছেন।
বালাঘাটা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মনুচিং মারমা জানান, তিনি ও তার পরিবার প্রায় সময় সেনাবাহিনীর এ ফ্রি সেবা নেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা খুব যত্নসহকারে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন, যা পাহাড়ের অনেক মানুষকে উপকৃত করছে।
এমডিএস ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের চিকিৎসক ক্যাপ্টেন মো. আবু সায়েম বলেন, বান্দরবান সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। যাদের জটিল রোগ নির্ণয় হয়, তাদের সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম বা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়।
তিনি জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৮৫ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু চিকিৎসা দিয়ে থেমে থাকি না, উন্নত চিকিৎসার জন্য যেসব রোগীকে পাঠানো হয় তাদের পরবর্তী অবস্থা নিয়মিত তদারকি করা হয়।
ভবিষ্যতেও পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ সব জাতি ও ধর্মের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।