লংগদুর পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি

লংগদুর পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি

লংগদুর পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং প্রতি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে শোকসভা, দোয়া ও কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে লংগদু উপজেলা কনফারেন্স কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটি ও ৩৫ কাঠুরিয়া পরিবারের উদ্যোগে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

শোকসভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালের ভয়াল সেই দিনে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ জন নিরস্ত্র কাঠুরিয়াকে শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র শাখা জেএসএস নির্মমভাবে হত্যা করে। টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় সবাইকে। সেদিনের হত্যাযজ্ঞে বেঁচে যান শুধু একজন—মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া। তাঁর বেঁচে ফেরা ও প্রত্যক্ষ স্বাক্ষ্যের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা উন্মোচিত হয়। ঘটনার পর সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করলেও আজো সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। ইউনুস মিয়া মামলা দায়ের করলেও গত ২৯ বছরে বিচার কার্যকর হয়নি।

লংগদুর পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি

বক্তারা অভিযোগ করেন, “৩৫টি পরিবার এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়। তাদের চোখের পানি শুকিয়েছে, কিন্তু দেশের আইন আদালত কোনো সান্ত্বনা দিতে পারেনি। এমনকি বেঁচে থাকা স্বাক্ষী ইউনুস মিয়াও আজ বিচারের আশা হারিয়ে ফেলেছেন।”

সভায় বক্তৃতা করেন— পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, পিসিসিপি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ রেজা প্রমুখ।

লংগদুর পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি

সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আসিফ ইকবাল এবং সঞ্চালনা করেন লংগদু উপজেলা পিসিসিপি সভাপতি সুমন তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম।

লংগদুর পাকুয়াখালী গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবি

অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন, যাদের মধ্যে গণহত্যায় নিহত কাঠুরিয়া পরিবারের সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন।

বক্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বারবার আস্থাহীনতার শিকার হবে। তারা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের জোর দাবি জানান।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।