সেনাবাহিনীর সাহসী ও তৎপর ভূমিকায় লংগদুর মাইনী বাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রনে

সেনাবাহিনীর সাহসী ও তৎপর ভূমিকায় লংগদুর মাইনী বাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রনে

সেনাবাহিনীর সাহসী ও তৎপর ভূমিকায় লংগদুর মাইনী বাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রনে
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার মাইনী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ১২–১৫টি দোকান। তবে সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতা ও সাহসী পদক্ষেপে বড় ধরনের প্রাণহানি ও আরও ব্যাপক ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে বাজার।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে লঞ্চঘাট সংলগ্ন হোটেল নিসার রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনীর লংগদু জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মীর মোর্শেদ এর নির্দেশনায় ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিনায়ক মেজর রিফাত উদ্দিন লিয়নের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্রায় ৫০ সদস্যের একটি উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ও আনসার ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চালিয়ে যান। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও এতে যোগ দেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

সেনাবাহিনীর সাহসী ও তৎপর ভূমিকায় লংগদুর মাইনী বাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রনে

অগ্নিকাণ্ডে চায়ের দোকান, মুদি দোকান, হোস্টেল, গুদাম ও ভাঙারির দোকানসহ প্রায় ১২–১৫টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মীর মোর্শেদ জানান, “এলাকার যেকোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে থাকবে এবং জনকল্যাণে কাজ করে যাবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাজারের লোকজন সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনী যে তৎপরতা ও শ্রম দিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাদের দ্রুত পদক্ষেপ না থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ভয়াবহ হতে পারত।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।