শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার বিচার শেষ পর্যায়ে, আতঙ্কে সাক্ষীরা

শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার বিচার শেষ পর্যায়ে, আতঙ্কে সাক্ষীরা

শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার বিচার শেষ পর্যায়ে, আতঙ্কে সাক্ষীরা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার নির্জন হত্যার বিচারিক কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পরও মামলার সাক্ষীরা হুমকি-ধমকির মুখে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী। তবে সাক্ষীদের সুরক্ষা ও ডাকাত দমনে তৎপর থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রাম। ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা মো. তানজিম সারোয়ার নির্জন। তিনি সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর বদলে গেছে পুরো গ্রামের পরিস্থিতি। এখনো রাত নামলে ভয়ে থাকেন স্থানীয়রা। যে কোনো সময় আবারও ডাকাত দল হানা দিতে পারে এ আতঙ্কে।

সেদিন রেজাউল করিম নামে যার বাড়িতে ডাকাত দল হানা দিয়েছিল, সেই পরিবারের সদস্যরা এখনও শিউরে ওঠেন ঘটনাটি মনে করে।

ভুক্তভোগী মিনা আকতার বলেন, ‘ডাকাতের কথা শুনে এখনো ভয় লাগে। যেসব ডাকাত ধরা পরেনি তারা আবার আমাদের ওপর হামলা করতে পারে এ ভয়ে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছি না।’

পূর্ব মাইজপাড়া ও আশপাশের গ্রামবাসীরা জানান, সন্ধ্যার পর অতি জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হন না তারা। অধিকাংশ ডাকাতের বসবাস পার্শ্ববর্তী রিজার্ভ পাড়ায় বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জরুরী কোনো কাজ ছাড়া সন্ধ্যার পর তারা বাড়ি থেকে বের হননা। ডকাতের ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী।

মামলায় এরইমধ্যে ৪৪ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে এলেও অভিযোগ উঠেছে আদালত কক্ষেই আসামিরা প্রকাশ্যে সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছেন।

চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. ফখরুদ্দিন বলেন, ‘সত্য সাক্ষী দেয়াতে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য কামনা করছি।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. তৌহিদুল এহসান বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাক্ষী যখন কোর্টে উপস্থিত করি আমরা, কোট এজলাসে ডাকাত হেলাল বিভিন্ন হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা কোর্টকে জানিয়েছি।’

ঘটনার পর হত্যা ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া দুই মামলায় মোট ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১২ জন গ্রেপ্তার হলেও বাকি ছয়জন এখনও পলাতক। পুলিশ বলছে, হত্যার পর মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত অভিযোগপত্র আদালতে দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেলা পুলিশ থেকে আমাদের যতটুকু সাপোর্ট দেয়ার দরকার আমরা সাপোর্ট দিচ্ছি। কোনো সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়গুলোও আমাদের মধ্যে পরে। প্রতিটি সাক্ষীর খোঁজ খবর আমাদের কাছে আছে।’

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন ২০২২ সালে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশন লাভ করেছিলেন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed