রামসু বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডারের আর্থিক সহায়তা
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা।
এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২রা অক্টোবর) পরিদর্শনকালে রিজিয়ন কমান্ডার প্রথমেই স্থানীয় মারমা সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
তিনি জানান, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডারের পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও ২০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হবে, যা অচিরেই তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
সেনাবাহিনীর এ মানবিক উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
রিজিয়ন কমান্ডার এ সময় এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “রামসু বাজারে দ্রুত স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অপপ্রচার ও স্বার্থান্বেষী মহলের প্রলোভনে বিভ্রান্ত না হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।”
তিনি আরও আশ্বাস দেন যে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তার এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দৃঢ় ভূমিকার প্রশংসা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তৎপরতায় গুইমারায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা ও পরে রামসু বাজারে অগ্নিকাণ্ডর ঘটনা ঘটে। এতে বহু দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে যায় এবং স্থানীয় মানুষ চরম ক্ষতির মুখে পড়ে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।