৪৯ বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পথচলা

৪৯ বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পথচলা

৪৯ বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পথচলা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের জন্য দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে অবিরাম পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছে খাগড়াছড়ি ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড।

শনিবার খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড ও খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের আভিযানিক পথে আমাদের অনেক সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত হয়েছে। আমরা মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষা করা ছাড়াও আত্ম-সামাজিক উন্নয়নের সকল কার্যক্রমে স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি। এই দায়িত্ব ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

৪৯ বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পথচলা

তিনি আরও বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অবদান অপরিসীম। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলে পাহাড়ে সূচিত হয়েছে সম্প্রীতির মিলবন্ধন এবং সমাজের আত্ম-সামাজিক উন্নয়নের পথ।”

খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার আরও উল্লেখ করেন, “সময় ও পরিস্থিতির পরিক্রমায় আমাদের সেনা সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া মানবিক সেবার পাশাপাশি জাতীয় দুর্যোগের সময়ও জনগণের পাশে আমরা সর্বদা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি।”

৪৯ বছর ধরে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পথচলা

অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বিজিবি কর্মকর্তা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন সকল জোন অধিনায়ব, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও আনসারসহ সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের তৎপরতা ও অবদানের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষের জীবন ও কাজের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। শান্তি ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

খাগড়াছড়ি ২০৩ ব্রিগেডের এ ধরনের উদ্যোগ ও মানবিক অবদান পার্বত্য চট্টগ্রামে দেশের সংবিধান, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed