রাঙামাটি ফরেষ্ট রোডের অবৈধ ৩৫টি দোকান উচ্ছেদ, স্বস্তি জনমনে

নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বনরুপা ফরেষ্ট রোড সংলগ্ন ফুটপাতের দোকান ঘর থেকে চাঁদা আদায় ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে মতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক বহিস্কৃত যুবলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠার পর এ ঘটনায় আহত নাসিরের স্ত্রী কর্তৃক ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করার পর এবার বনরূপার ফরেষ্ট রোডে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৩৫টি ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। ১লা ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা এগারোটার সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ এর নেতৃত্বে পুলিশ, বনবিভাগ, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের কর্মচারিদের মাধ্যমে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
এ ঘটনায় উচ্ছেদ হওয়া দোকানীরা জানিয়েছেন, তাদেরকে কোন রকম সময় না দিয়েই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, শহরের কলেজ গেইট এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের উপর এবং বনরূপা বাজারের সমতা ঘাট পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের দখলে ব্যবসা চললেও প্রশাসন সেদিকে নজর দেয়না।
তবে, অভিযান পরিচালনার নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি অবৈধ দখলদার ও অবৈধ ব্যবসায়ি চক্র রাঙামাটির বনবিভাগের একমাত্র সড়কটি দখল করে দোকান-পাট নির্মাণ করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, রাঙামাটিবাসীর প্রত্যাশানুসারে এই সড়কটিতে সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে।
মূলত, রাঙামাটি শহরের ব্যস্ততম এই এলাকাটিতে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে এই দোকানগুলো বসিয়ে ভাড়া আদায় করে আসছিলো সরকারদলীয় সংগঠনের একটি পক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করলেও তা মূলত কাজে আসেনি।
বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, বনরুপা বাজারে ফরেস্ট অফিসের সামনে ফুটপাত দখল করে ৩৫টি ভাসমান দোকান নির্মাণ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। সেখান থেকে প্রতিদিন চাঁদা উত্তোলন করা হয় দোকান প্রতি ৭০ টাকা। যার পুরোটা উত্তোলনের দায়িত্ব ছিলো ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাসিরের উপর। সম্প্রতি টাকা হিসাব নিয়ে বাকবিতন্ডতার পর নাসিরকে দল থেকে বহিস্কার করে সংগঠনটির নেতারা। সেসময় নাসির সাংবাদিক সম্মেলনসহ সামাজিক মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানান এর জেরে গত ২৭ জানুয়ারি সোমবার রাতে তাকে ডেকে লোহার রড ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে হামলা করে প্রতিপক্ষ। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত ফুটপাতে অবৈধ এসব দোকন ঘর তৈরী ও চাঁদাবাজিতে রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর অনুসারীরাই জড়িত।