রাঙামাটিতে হাফেজদের সম্মাননা, হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

রাঙামাটিতে হাফেজদের সম্মাননা, হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

রাঙামাটিতে হাফেজদের সম্মাননা, হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের ফিসারীঘাট শান্তিনগর এলাকার ফিসারী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান–২০২৫।

জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও কোরআন শিক্ষাকেন্দ্র থেকে অংশগ্রহণকারী হাফেজ ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. একরামুল রাহাত।

তিনি বলেন, “পবিত্র কুরআনের হাফেজরা সমাজে নৈতিকতা, শান্তি ও মানবতার আলো ছড়িয়ে দিতে পারেন। ইসলামী শিক্ষা তরুণ প্রজন্মকে মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। তাই এ ধরনের আয়োজন সমাজকে আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করীম (এনডি)। তিনি বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষা যুক্ত হলে সমাজে শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় থাকে।”

রাঙামাটিতে হাফেজদের সম্মাননা, হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাবীব আজম। তিনি জানান, “কুরআনের আলো তরুণ প্রজন্মের জীবনে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়। তাই এই আয়োজন অত্যন্ত মূল্যবান।”

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রাঙামাটি দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা শরীয়ত উল্ল্যাহ এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন কাঠালতলী নূরানী তা’লীমুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আবুল হাশেম।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, “এই আয়োজন জেলার প্রতিভাবান হাফেজদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে কুরআন চর্চায় আগ্রহী করে তোলে।” সঞ্চালক ছিলেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মো. রহমতুল্লাহ।

পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এবং দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বেশি ছিল, যা ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারের ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed