পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নে ‘চাঁদাবাজি রোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার’ আহ্বান খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের
![]()
নিউজ ডেস্ক
পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং ব্যবসায়ী সমাজকে নিরাপদ পরিবেশে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনায় সহায়তা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অটল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের অডিটোরিয়ামে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, “পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। তবে পার্বত্য এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র ও আর্থিক সক্ষমতার অন্যতম উৎস হচ্ছে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি। ব্যবসায়ীরা এই চাঁদাবাজির শিকার হলে শুধু বাজার অর্থনীতি নয়, জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে।”
তিনি আরও বলেন,
“ভারত ও মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা এই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করতে না পারে—সেজন্য চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। যারা চাঁদা তোলে, বা চাঁদা দিতে বাধ্য করে—তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। চাঁদাবাজদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো অনৈতিক আর্থিক লেনদেনে সহযোগিতা করা গ্রহণযোগ্য হবে না।”

ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
“আপনারা ভয় পাবেন না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে আছে। কোনো ধরনের সন্দেহ, হুমকি বা সন্ত্রাসী চাপ অনুভব করলে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প, জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কাছে দ্রুত জানান। সবাইকে নিয়ে আমরা পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনবো।”
সেনাবাহিনীর সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচির কথাও তুলে ধরেন রিজিয়ন কমান্ডার। তিনি বলেন— “সেনাবাহিনী শুধু নিরাপত্তা নয়—স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা সহায়তা, ক্রীড়া উন্নয়ন এবং মানবিক সহায়তামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালনা করছে। পাহাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন আমাদের কর্তব্যের অংশ।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ রিজিয়ন কমান্ডারের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধ ও নিরাপদ ব্যবসা পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।
সভা শেষে ব্যবসায়ী নেতারা সেনাবাহিনীর শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় সভায় সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগ, পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর মিলনমেলা, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবামূলক আয়োজন স্থানীয় জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করেছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।