অবৈধভাবে পাচারকালে বর্মাছড়ির মগকাটায় সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ

অবৈধভাবে পাচারকালে বর্মাছড়ির মগকাটায় সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ

অবৈধভাবে পাচারকালে বর্মাছড়ির মগকাটায় সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার দুর্গম বর্মাছড়ি মুখ এলাকা থেকে ঝিরিপথে অবৈধভাবে পাচারকৃত বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীর সময়োপযোগী ও পেশাদার অভিযানের প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মগকাটা এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে ৫৩০ পিস অবৈধ কাঠ জব্দ করা হয়। সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়নের লক্ষীছড়ি জোন এ অভিযান চালায়।

পার্বত্য অঞ্চলে বনজ সম্পদ রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর এ অভিযান একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

অবৈধভাবে পাচারকালে বর্মাছড়ির মগকাটায় সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝিরিপথ ও দুর্গম পাহাড়ি রুট ব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ ভাবে কাঠ পাচারে জড়িত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ভুল পরিকল্পনা ও দ্রুত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী যে সাফল্য দেখিয়েছে, তা তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতারই প্রতিফলন।

প্রায় ১ হাজার ৬০ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার এবং তাৎক্ষণিকভাবে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে বাহিনীর আন্তরিকতা আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের অভিযান কেবল অবৈধ কাঠ পাচার ঠেকানোতেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এর মাধ্যমে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি শক্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পার্বত্য অঞ্চলে আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ করে বন উজাড় ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অবৈধভাবে পাচারকালে বর্মাছড়ির মগকাটায় সেনা অভিযানে বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ

নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং প্রাকৃতিক ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণের স্বার্থে এ ধরনের সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে জনগণের পাশে থেকে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

স্থানীয় জনগণের মাঝেও এই অভিযানের ফলে আস্থা বেড়েছে বলে জানা গেছে। তারা বলছেন, নিয়মিত ও কার্যকর অভিযানের মাধ্যমে পাহাড়ি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং অবৈধ চক্রগুলো ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়বে।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য অঞ্চলে বনজ সম্পদ রক্ষা ও চোরাচালান দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান শুধু পরিবেশ সংরক্ষণেই নয়, দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed