ভারতীয় সন্ন্যাসীকে ’বাংলাদেশি সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ভুয়া খবর ছড়াল ভারতীয় মিডিয়া

ভারতীয় সন্ন্যাসীকে ’বাংলাদেশি সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ভুয়া খবর ছড়াল ভারতীয় মিডিয়া

ভারতীয় সন্ন্যাসীকে ’বাংলাদেশি সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ভুয়া খবর ছড়াল ভারতীয় মিডিয়া
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে কপালে তিলক ও ‘মহাকাল’ লেখা স্কার্ফ পরিহিত একজন ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে—যিনি দেখতে একজন হিন্দু সন্ন্যাসীর মতো। ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে ঘিরে একদল মানুষ গালাগাল করছে এবং মারধরের হুমকি দিচ্ছে। ভিডিওর একটি অংশে আরও দেখা যায়, দুইজন সন্ন্যাসীর সঙ্গে একদল লোকের ধস্তাধস্তি হচ্ছে।

ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে ভারতের ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম সুদর্শন নিউজ দাবি করে যে, বিহারের গোপালগঞ্জে সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে এক বাংলাদেশি সন্ত্রাসী ধরা পড়েছে।

দেখুন এখানে এবং এখানে

এছাড়া, সুদর্শন নিউজ একটি প্রতিবেদনে ভিডিওটি প্রচার করে দাবি করে যে, বিহারের গোপালগঞ্জে ‘আঘোরি’ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে থাকা বাংলাদেশি ইসলামিক মৌলবাদীদের স্থানীয়রা মাংস খাওয়ার সময় আটক করেছে। প্রতিবেদনে এটিকে ধর্মীয় পরিচয়ের অপব্যবহার ও ভুয়া পরিচয় ধারণের ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

দেখুন এখানে

ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী এক্স হ্যান্ডেল ‘Team Hindu United’ দাবি করে, গোপালগঞ্জে স্থানীয়রা ভিক্ষা করার সময় হিন্দু সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে থাকা কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে।

দেখুন এখানে

ভারতীয় ডানপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার রিণীতি চ্যাটার্জি তিনিও একই দাবিতে ভিডিওটি শেয়ার করেন।

দেখুন এখানে

তবে দ্য ডিসেন্টের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সত্য নয়।

মূলত ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে আসা একজন সন্ন্যাসীকে সন্দেহ হওয়ায় বিহারে স্থানীয়রা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এই ভিডিওটি পরে ’বাংলাদেশি সন্ত্রাসীকে মারধর’ দাবিতে অসত্যভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটির পেছনের একটি ভবনে “Maa Bhawani Clinic” এবং “Heart and Diabetes Center” লেখা রয়েছে। গুগল ম্যাপসে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ভবনটি বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার কুচাইকোট এলাকায় অবস্থিত মা ভবানী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াবেটিস সেন্টার।

দেখুন এখানে

প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড অনুসন্ধানে বিহারের গোপালগঞ্জ পুলিশের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়।

২০২৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে করা ‘বাংলাদেশি সন্ত্রাসী’ দাবিটি পুলিশ নাকচ করে দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুচাইকোট থানার ওসি ভিডিওটি যাচাই করেছেন। ওই ব্যক্তি একজন সন্ন্যাসী এবং তার কাছ থেকে কোনো আপত্তিকর বা অপরাধমূলক সামগ্রী পাওয়া যায়নি। পুলিশ আরও জানায়, সন্ন্যাসী বাংলাদেশি—এমন দাবি সঠিক নয়। তার আধার কার্ড যাচাই করা হয়েছে এবং তিনি উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ জেলার বাসিন্দা।

দেখুন এখানে

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed