খাগড়াছড়িতে অব্যাহত রয়েছে সেনা টহল, বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতা মূলক কর্মকান্ড
![]()
নিউজ ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ, জনসচেতনতা সৃষ্টি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও এর সংক্রমন এড়াতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে আজও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে টহল অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে ঘর হতে বের না হাবার নির্দেশনাসহ জীবানুনাশক পানি স্প্রে করেছে সেনাবাহিনী।

জেলা সদরে এক প্রকার লকডাউনের মধ্যেই জেলার প্রবেশ মুখে ৫ম দিনের মতো নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী যুবকরা। জেলা সদরে প্রবেশ করা ব্যক্তি বা গাড়ি স্প্রে, লিফলেট বিতরণ ও মাস্ক বিতরণ করছে তারা। পাশাপাশি জেলা সদরে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের পাশাপাশি দেখা গেছে সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৫নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। পাশাপাশি স্প্রে কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিজ ওয়ার্ডের ৫টি মসজিদে স্প্রে মেশিন, কীটনাশক, মাস্ক, সাবান ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামও বিতরণ করা হয়।
এছাড়া জেলার পানছড়িতে টহল অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী। পানছড়ি সাবজোনের সেনা সদস্যরা দিনব্যাপী পানছড়ি বাজার এলাকা ও লোগাংসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়কে টহলের পাশাপাশি মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করছে। উপজেলার সাঁতাল পাড়ায় সকালে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের আয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্প্রে করা হয়েছে।
জেলার দীঘিনালায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি সেনা সদস্যরা উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সাথে যৌথভাবে মাইকিং, লিফলেট বিতরন এবং রাস্তায় জীবানুনাশক পানির স্প্রে সহ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনগনকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করছে।

জেলার প্রবেশমুখ রামগড়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশ টহল কর্তৃক রামগড় বাজার ও উপজেলার আশে পাশে বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদোজা, সেনাবাহিনীর গুইমারা সাবজোন অধিনায়ক মেজর মোঃ জোনায়েদ বিন কবির, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান অংশ নেন।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে, জনগণের ব্যাপকহারে পারস্পরিক সংস্পর্শ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় উপজেলার গোমতী বাজার, বেলছড়ি বাজার ও খেদাছড়া বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য দাম নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকার আইনে পন্যে বেশী দামে বিক্রি করায় ৩ জন দোকানদারকে বিভিন্ন হারে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি উপজেলা সদরেও বেশ কয়েকটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের দাম বেশী রাখায় দোকান মালিকদের ভোক্তা অধিকার আইনে জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যোগে জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।