করোনা সংক্রমণ এড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ফেরত কর্মজীবিদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে অস্থায়ী বাসস্থান নির্মান, খাবার যোগান দেবে ইউনিয়ন পরিষদ - Southeast Asia Journal

করোনা সংক্রমণ এড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ফেরত কর্মজীবিদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে অস্থায়ী বাসস্থান নির্মান, খাবার যোগান দেবে ইউনিয়ন পরিষদ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারাদেশেই অঘোষিত এক প্রকার লকডাউন চলছে। এর মধ্যে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় আসা ব্যক্তিদের হোম কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারী সিদ্ধান্তে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে বহু কল-কারখানা ও গার্মেন্টস। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার এসব কল-কারখানা, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কর্মরত পার্বত্য চট্টগ্রামের কর্মজীবিরা ইতিমধ্যেই ফিরতে শুরু করেছেন নিজ এলাকায়। এমতাবস্থায় পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে করোনার সংক্রমণ এড়াতে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হচ্ছে অস্থায়ী বাসস্থান, যা ঢাকা-চট্টগ্রাম ফেরত কর্মজীবি নারী-পুরুষের জন্য হোমকোয়ারেন্টাইন হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গেছে।

১৭ এপ্রিল শুক্রবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের নোয়া পাড়ায় বাঁশ, টিন ব্যবহার করে এমনি কয়েকটি অস্থায়ী ঘর নির্মান করতে দেখা গেছে স্থানীয় যুবকদের। জানা গেছে, কল-কারখানা বন্ধ থাকায় সাজেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসা শ্রমিকদের হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের জন্য গ্রামে সেচ্ছায় অস্থায়ী বাড়িঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে গ্রামের সচেতন যুব সমাজ। আর ১৪দিন ধরে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন এসব কর্মজীবি মানুষের খাবার ও অন্যান্য সরঞ্জামের যোগান দিবে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ।

এছাড়া বাঘাইছড়ির ভাইবাছড়া, হাজাছড়া, রামছড়া, নাঙ্গলমারা, উলুছড়া, নন্দরাম, ডিপুপাড়া, শুকনোছড়া, করল্ল্যাছড়ি, এগুচ্ছাছড়ি, ভাইবোনছড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মোট ২৫টি অস্থায়ী ঘর নির্মান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি ঘরে ৪ জন করে ২৫ টি ঘরে এক শত লোক থাকতে পারবে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দয়াধন চাকমা জানান, ‘যে সকল লোকজন ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে আসছে আমরা তাদের শতভাগ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছি এবং অনেক এলাকায় সচেতন যুবকরা সেচ্ছায় অস্থায়ী বাড়িঘর তৈরি করে দিয়েছে। এজন্য যুবকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ এরই মধ্যে সাজেকের কইয়্যেতলী, বাঘাইহাটের নোয়া পাড়ায় যুবকরা আলাদা করে ঘর নির্মাণ করেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ঘরে ফেরা রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কল-কারখানা ও গার্মেন্টস এ কর্মরত শ্রমিকদের উদ্যেশ্য করে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যারা শহর হতে গ্রামে ফিরেছেন বা ফিরছেন, তারা যেন স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলেন। এছাড়া নিজের পরিবারের ভালোর জন্য, অন্যান্যদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করে অন্তত আগামী ১৪-১৬ দিনের জন্য “কোয়ারান্টাইন” করতে অর্থাৎ সঙ্গ-রোধ করতে, সঙ্গীদের সাথে খোলামেলা ভাবে না মিশে- নিজেকে নিঃসঙ্গ রাখতে এসব কর্মজীবিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।