করোনা পরিস্থিতিতে জনকল্যাণে রাঙামাটি পৌরসভার তিন কাউন্সিলরের অবিরাম ছুটে চলা - Southeast Asia Journal

করোনা পরিস্থিতিতে জনকল্যাণে রাঙামাটি পৌরসভার তিন কাউন্সিলরের অবিরাম ছুটে চলা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে দেশের বিভিন্ন জেলা ইতোমধ্যেই লকডাউনে, পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সরাসরি লকডাউন ঘোষিত না হলেও অঘোষিত লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াতে রাঙামাটির পৌরসভার কাউন্সিলররা কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির আওতায় আসা পর থেকে দিন রাত এক করে মাঠে কাজ করছেন তারা। তবে পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, কালায়ন চাকমা ও মিজানুর রহমান বাবু অবিরাম ছুটে চলেছেন ওয়ার্ডবাসীর দুঃখ-কষ্ট লাঘবে।

প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণে সহায়তা থেকে ফায়ার সার্ভিসের বা পৌরসভার জীবানুণাশক স্প্রে ছিটানো সব ক্ষেত্রেই সব কার্যক্রমেই প্রতিদিন রাঙামাটিবাসীর পাশে থেকে কাজ করছেন রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, ‘করোনা ভাইরাস সম্পর্কে শহরের জনগণকে সচেতন করতে নানা কাজ করছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে আমার ওয়ার্ডের জন্য ৬শত মাস্ক দেয়া হয়েছিল, সেগুলোসহ নিজের অর্থায়নে আরো ১৪শত মাস্ক আমার ওয়ার্ডে বিতরণ করেছি। জনসাধারণকে করোনা সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করেছি পৌরসভার পক্ষ থেকে।’ সরকারি যেসব ত্রাণ সহায়তা তিনি পেয়েছেন তা তিনি ইতিমধ্যে বিতরণ করে দিয়েছেন, তার সাথে দুই থেকে আড়াইশত মানুষকে নিজের অর্থায়নে বিভিন্ন সময় ত্রাণ বিতরণ করেছেন বলেও জানান এই কাউন্সিলর।

করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন কাউন্সিলর ও পৌর পরিষদের ২ নম্বর প্যানেল মেয়র কালায়ন চাকমা। তিনি জানান, ‘সরকারের পক্ষ থেকে শিশু খাদ্য সহ যেসকল ত্রাণ ইতিপূর্বে আমার ওয়ার্ডের জন্য পেয়েছি তা আমি বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। আমি চেষ্টা করছি সকলকে নিয়ে একসাথে করোনা মোকাবেলা করতে। যে সকল সেচ্ছাসেবক টিম ইতিমধ্যে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ত্রাণ সহযোগীতা করতে চাইছে তাদের আমি পরামর্শ দিব সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে তালিকা করে ত্রাণ বিতরণ করতে। যার ফলে ত্রাণের সুষম বন্টন নিশ্চিত হবে।’

করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফনের কাজে জেলা প্রশাসন যখন সেচ্ছাসেবক খুঁজছিল তখন যার নাম সবার প্রথমে জমা পড়েছিলো তিনি হলেন রাঙামাটি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বাবু। এই কাউন্সিলর প্রতিদিন তিনি তার ওয়ার্ডে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জানান, ‘আমার ওয়ার্ডে পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫টি বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও আমি যে সকল ত্রাণ সহায়তা সরকার থেকে পৌরসভার মাধ্যমে পেয়েছি তাও ৬ দফায় বিতরণ করেছি এবং বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে এলাকার নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে।’

এর পাশাপাশি নিজেদের ওয়ার্ডে নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে, মাইকিং করে প্রচারণা চালানো, জনসাধারনকে ঘরে রাখতে পুলিশরকে সহায়তা, এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ পৌরবাসীর মাঝে সরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে বিতরণকৃত ত্রাণের চাল সুষম বন্টন প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসেছেন এই জনপ্রতিনিধিরা।