সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও নিরাপত্তা জোরদারির দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের

সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও নিরাপত্তা জোরদারির দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের

সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও নিরাপত্তা জোরদারির দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখা গত ২০ অক্টোবর রাত ১০টার সময় আমতলী ইউনিয়নের মাহিল্যা–কবিরপুর এলাকায় ঘটে যাওয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে। সংগঠনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই রাতে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জজ মিয়ার বাড়িতে অপ্রত্যাশিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং প্রায় ২০–২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বাঘাইছড়ি শাখার সভাপতি মোঃ মোক্তার হোসেন সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবছার হোসেন ঘটনাস্থল ও স্থানীয়দের প্রতি শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমতলী, মাহিল্যা ও কবিরপুরবাসীকে আমরা বিনীতভাবে শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানাই। পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালাচ্ছে — এ ধরনের অপচেষ্টা বেধে দেওয়া হবে।”

সংগঠনটি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে — হামলায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে। একইসঙ্গে উপজেলার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কড়া আবেদন করা হয়েছে যাতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায় এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “মাহিল্যা, আমতলী ও কবিরপুর এলাকায় কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হলে এর জবাব অত্যন্ত কঠোরভাবে দেওয়া হবে। আমরা প্রশাসনের নিকটও দাবি জানাচ্ছি — সন্ত্রাসীরা যে দলের বা সম্প্রদায়েরই হোন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, এলাকার ভূমি-বিতর্ক ও সম্প্রদায়গত উত্তেজনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বিভিন্নভাবে দাঙ্গাভর্তি পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং নানাভাবে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করছে। এতে সাধারণ পরিবারের আশ্রয় ও জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে বলে ক্ষোভ রয়েছে।

এই ঘটনার পর সেনাবাহিনীর ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও স্থানীয় কিছু সংগঠন স্থায়ী নিরাপত্তা ও দ্রুত বিচারের প্রত্যাশা জানান।

স্থানীয়রা আশংকা করছে, ঘটনাটির যথাযথ তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা না হলে পরিবেশ পুনরায় অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ তাদের বিবৃতিতে সকল গণ্যমান্য, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষকে ঘোষিত শান্তি অবস্থান বজায় রাখার অনুরোধ পুনরায় জানিয়েছে এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানায়।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *