বিক্ষোভে ফুঁসছে মিয়ানমার, পুলিশের গুলিতে নিহত ৭ - Southeast Asia Journal

বিক্ষোভে ফুঁসছে মিয়ানমার, পুলিশের গুলিতে নিহত ৭

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ সময় ধরে চলা প্রতিবাদ বন্ধে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের পুলিশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভ দমাতে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার ও স্টান গ্রেনেডের পাশপাশি ফাঁকা গুলি ছুড়ছে পুলিশ।

গণমাধ্যমের পোস্ট করা বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, রক্তাক্ত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সহযোদ্ধারা। তবে রাবার বুলেট নাকি সক্রিয় গুলিতে তারা আহত হয়েছেন, সেবিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানা যায়, পুলিশকে বাধা দিতে বিভিন্ন সড়কে বেরিকেড দেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে তা ভেঙে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী। শনিবারও ইয়াঙ্গুলে পুলিশি হামলার শিকার হন গণতন্ত্রপন্থিরা। এসময় গুলিতে আহত হন এক নারী। আটক হন চারশতাধিক বিক্ষোভকারী।

এরআগে, সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুনকে বরখাস্ত করেছে দেশটির জান্তা সরকার। তুন দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমআরটিভি জানায়, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়বদ্ধতা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুক্রবার জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মো তুন। বক্তব্য শেষে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে তিন আঙ্গুলে সেলুট দেন কিয়াও মো তুন।

নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ব্যাপক জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারবন্দি করে রাখে। এর পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রায় প্রতিদিন সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। কোনো কোনো দিন বিক্ষোভে লাখো প্রতিবাদকারী যোগ দিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলো অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে, কয়েকটি দেশ সীমিত কিছু নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে।