খাগড়াছড়িতে পানিশূন্য গ্রামে বিজিবির মানবিকতা
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামে শুষ্ক মৌসুমে মাটির নীচে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় প্রায় প্রতিবছরই বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়তে হয় এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। এবার ঘটেনি তার ব্যতিক্রম।
অপর দুই জেলা ছাড়াও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় ব্যাপক পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে পাহাড়ী এলাকাগুলোতে। মাঝে মাঝে সেনাবাহিনী, সড়ক বিভাগ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে পানিশূন্য এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। পাহাড়ী জনপদ হওয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরও স্থায়ী ভাবে কোন সমাধান করতে পারে না এ অঞ্চলের পানি সমস্যার।
তবে এবার অসম্ভবকে সম্ভব করে পাহাড়ী এলাকায় পানিশূন্যতার স্থায়ী সমাধান করে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছে ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (রামগড় জোন) এর বিজিবি সদস্যরা।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জোন অধীনস্ত বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে স্থানীয় পাহাড়ী ও বাঙ্গালীরা অতিকষ্টে দিনানিপাত করছিলেন। এমতাবস্থায় লোকমুখে স্থানীয় পানি সংকটের কথা শুনে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের দূদর্শা দেখে সেখানে স্থায়ী ভাবে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কাজ শুরু করে বিজিবি।
৪৩ বিজিবির (রামগড় জোন) জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ারুল মাযহার’র প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় জনসাধারনের কল্যাণে পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে ৪৩ বিজিবি কর্তৃক গত ১৮ মে তারিখে জোন অধীনস্ত খাগড়াবিল সি আই ও ক্যাম্পের অন্তর্গত তারাচানপাড়া এবং লালছড়িপাড়ায় সুপেয় পানির জন্য দুটি টিউবওয়েল এবং বৈদ্যপাড়া সিআইও ক্যাম্পের অধীনে ডাক্তার পাড়ায় সুপেয় পানির জন্য একটি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
সরজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, বিজিবি কর্তৃক স্থাপিত এ তিনটি টিউবওয়েলের মাধ্যমে সরাসরি এলাকার সর্বমোট ১৬০ পরিবার উপকৃত হয়েছে, স্থায়ী ভাবে সমাধান হয়েছে দীর্ঘদিনের পানি সংকটের।
জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ারুল মাযহার জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালীসহ সবার জীবনমান উন্নয়নের জন্য ৪৩ বিজিবির এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।