বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের জটিলতা বেশি
নিউজ ডেস্ক
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছে আরো দুজন, আক্রান্ত হয়েছে ২৭৮ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই ২৩০ জন শনাক্ত। এ পরিস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল ও মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনার উদ্বেগ কমলেও কিছুতেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সিটি করোপরেশন চেষ্টা করলেও নির্মূল হচ্ছে না এডিস। লকডাউনে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ থাকায় প্রকোপ বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ অবস্থায় মশা নিধনে সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী। সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
২০১৯ সালের পর এবার রাজধানীতে ভয়াবহ অবস্থায় গেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। দুই সিটি করপোরেশনের নানা উদ্যোগও পারেনি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজারের কাছাকাছি। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার সচিবালয়ে বসে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা।
সভায় যোগ দিয়ে ঢাকার দুই মেয়র জানান ডেঙ্গু বাড়ার কারণ। দায়ী করেন, মানুষের অসচেতনতা ও মৌসুমি বৃষ্টিকে।
সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরও ডেঙ্গুরোগী বাড়ায় হতাশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। জোর দেন সমন্বিত মশা দমনের ওপর। মশা মারার জন্য কীটনাশক দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, প্রতিবারই এডিস দমনে ব্যর্থ হয় সিটি করপোরেশন। যে কার্যক্রম চলছে এতে এডিসের বংশ বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শুধু মিটফোর্ড হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ২২৭ জন।
ডেঙ্গু ডেডিকেটেড মিটফোর্ড হাসপাতালে শয্যা সঙ্কটের কারণে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেক রোগীকে। যারা দ্বিতীয়বারের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের শারীরিক জটিলতা বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, সব রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। বিশ্রাম নিলে ও পর্যাপ্ত পানি পান করলে অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ভালো হয়ে যায। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেই শুধুমাত্র হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।