টেকনাফের পাহাড় থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ আটক
নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফের কেরনতলীর পাহাড়ি এলাকা থেকে ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক খায়রুল আমিনকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ এর সদস্যরা। গ্রেফতার খায়রুল উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত ক্যাম্পের মৃত মোস্তফিজের ছেলে এবং একটি ডাকাত গ্রুপের প্রধান ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খায়রুলের স্বীকারোক্তি মতে টেকনাফের কেরনতলীর পাহাড়ি এলাকা থেকে দুটি থ্রি-কোয়ার্টার গানসহ পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬টি গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগের দিন একটি পিস্তল এবং গুলিসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।
রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাহ উদ্দিন বলেন, ‘কেরনতলী এলাকায় অনেক দিন ধরে গুম, খুন ও চাঁদাবাজিসহ ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল ডাকাত দলের প্রধান খায়রুল আমিন। সে সূত্র ধরে ২-৩ মাস ধরে সেখানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। সবর্শেষ গতকাল ওই এলাকায় ডাকাত খায়রুল আমিনের অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে একটি পিস্তল এবং গুলিসহ ওই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, জিঙ্গাসাবাদে গ্রেফতার ডাকাত সদস্য স্বীকার করেন তার কাছে পাহাড়ি এলাকায় আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। পরের দিন তাকে নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে তার দলের লোকজন একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। ওই বস্তা থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র এবং দুটি থ্রি-কোয়ার্টার গানসহ ছয়টি গুলি উদ্ধার করা হয়। খায়রুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ ওই পাহাড়ি এলাকায় ডাকাতি, খুন, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।