নুসরাত হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এক এসআইকে খাগড়াছড়িতে বদলি, শাস্তির আওতায় এসপিও - Southeast Asia Journal

নুসরাত হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এক এসআইকে খাগড়াছড়িতে বদলি, শাস্তির আওতায় এসপিও

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সেখানকার সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের পর অভিযুক্ত দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিশ সদর দফতর। শাস্তির অংশ হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযুক্ত এসআই ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে এবং এসআই ইকবাল আহাম্মদকে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া অভিযুক্ত ফেনীর এসপির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে তাকেও একটি ইউনিটে সংযুক্ত করা হবে। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ১১ মে শনিবার পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অভিযুক্ত দুই এসআইকে অন্যত্র সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের দূরবর্তী বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তি কোনো বদলি নয়, এটি শাস্তি প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সংযুক্তিকালে তাদের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় না বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ওই মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোনাগাজী ঘুরে এসে ৩০ এপ্রিল রাতে পুলিশ সদর দফতরে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল কবিরের বিরুদ্ধেও দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।