রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে গবেষণা করতে ইউএনডিপির চুক্তি সই
![]()
নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যকার সামাজিক উত্তেজনা প্রশমনে গবেষণা চালাতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত ইউএনডিপির কার্যালয়ে ইউএনডিপি এবং নরওয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিদসেল লিকেন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুদিপ্ত মুখার্জী স্ব স্ব পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
উভয়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়নে ২০১৯-২০২১ সালে এই বাস্তবায়িত চুক্তির অধীনে ইউএনডিপি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সামাজিক উত্তেজনা প্রশমনে গবেষণা চালাবে। গবেষণায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে যে কোন সংঘর্ষের ওপর আগাম পূর্ব সতর্কতা ও প্রতিরোধে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ইউএনডিপি কার্যক্রমে তথ্য ও সহায়তা দেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুদীপ্ত বলেন, নরওয়ে এসডিজি ২০৩০ লক্ষ্য অর্জনে ইউএনডিপি’র মিশনে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এই চুক্তি স্বাক্ষরে রোহিঙ্গা সংকটের পর কক্সবাজারে গৃহীত আমাদের উন্নয়ন কাজ আরো জোরদার হবে এবং শরণার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
সিদসেল লিকেন বলেন, আমরা সারাবিশ্বে শান্তি, ন্যায় বিচার ও প্রাতিষ্ঠানিক ইনিস্টিটিউট শক্তিশালী করতে এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের গ্রহণযোগ্য সমাধানে নরওয়ে সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তার সরকার আশাবাদী। চুক্তিটি ইউএনডিপির বৃহত্তর ‘পার্টনারশীপ ফর টলারেন্ট ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ’ (পিটিআইবি) প্রকল্পের একটি অংশ।
ঢাকায় নরওয়ে দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা মোরশেদ আহমেদ এবং ইউএনডিপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার রবার্ট স্টোলম্যান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।