দাতা সংস্থা রোহিঙ্গাদের ধারালো অস্ত্র দিচ্ছে
![]()
এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী:
আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও লিখতে বাধ্য হলাম।
বিশ্বের কোন দেশে বৈদেশিক আশ্রায়িত নাগরিক এভাবে বেপরোয়া চলাফেরা করতে পারে? আমাদের স্থানীয় হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী কেউ দুই হাজার টাকার পুঁজিতে পানের দোকান করলে তার থেকে ট্যাক্স দিতে হয়। বাড়ীর ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু রোহিঙ্গারা বিনা ট্যাক্সে কোটি টাকার ব্যাবসা করে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদেরকে দাতা সংস্থা ব্যবসা করার জন্য কোটি টাকা বিনা সুদে লোন দিচ্ছে। যাতে এ দেশে তাদের অবস্থান শক্ত হয়। দাতা সংস্থা রোহিঙ্গাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিচ্ছে। সে অস্ত্র দিয়ে যে কোন মুহুর্তে আমরা যারা স্থানীয় জনতা আছি, আমাদের উপর ব্যবহার করতে পারে। বলা বাহুল্য, উচ্চ সম্পন্ন জ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গার সুরে বলে যাচ্ছে, রোহিঙ্গা আসাতে স্থানীয়দের লাভ হয়েছে কিন্তু না, শুধুমাত্র লাভ হয়েছে কিছু দালাল শ্রেণীর এবং এনজিও নামক দেশদ্রোহী অর্থলোভী কুচক্রী মহলের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ঘোষনা করেছেন রোহিঙ্গাদের জন্য আসা বৈদেশিক অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ৭০% এবং স্থানীয়দের জন্য ৩০% দেয়া হবে। এতে দেখা যায় উখিয়া উপজেলায় আমরা স্থানীয় জনগন দুই লক্ষ আর রোহিঙ্গা প্রায় নয় লাক্ষ। সে হিসাবে স্থানীয়রা পায় প্রতিজন পনের টাকা আর রোহিঙ্গারা পায় আট টাকা এরপরও কেন রোহিঙ্গার প্রতিটি বাড়ীতে এলপিজি গ্যাস, সৌরবিদ্যুৎ, রমজানের আগের দিন প্রতিটি বাড়ীতে ইফতারী, বড়দিনে মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। স্থানীয়রা কি পেল? আগে কিছু ইফতারী ও কিছু খেজুর পেলে ও এইবারের রমজানে এসবের থেকে সম্পুর্ন ভাবে বঞ্চিত পালংখালী ইউনিয়নবাসী। মানুষের নিত্যদিনের খাদ্য হিসাবে চাউল দিলেও তা সঠিকভাবে বিতরন করা সম্ভব হচ্ছেনা। কারন এনজিও’রা কিছু দিলেও কারো সাথে সমন্বয় না করার কারণে বন্টনকারী ব্যক্তিদের স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের জন্য একজনে কয়েক বার পেলেও আসল হত-দরিদ্ররা বাদ যাচ্ছে। এমন ও এনজিও আছে যারা চুরি করে চুপি চুপি ত্রান দিয়ে যায়। তাছাড়া এসকেবি ইফসা নামক দুই এনজিও ব্যাংকের মাধ্যমে এবং মোবাইল সিমের মাধ্যমে ক্যাশ ফরওয়ার্ক নামে টাকা দিচ্ছে। এতে দেখা যায় এনজিও কর্মীদের আত্বীয়-স্বজন ভিন্ন জেলার ভিন্ন উপজেলার ভিন্ন ইউনিয়নের লোকেরা প্রাধান্য পেয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে সমন্বয়ের অভাব। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। পরিশেষে বলবো, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরকার পরিচালিত না হয়ে, এভাবে এনজিও পরিচালিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে এ দেশ একদিন জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিনত হবে। যারা আজ ত্রান দিয়ে সাহায্য করছে তারাই এদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র বানাবে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাই এখনো সময় আছে রোহিঙ্গাদেরকে নিয়ন্ত্রন করুন আর এনজিওদের বিতাড়িত করুন।
লেখক- চেয়ারম্যান, পালংখালী ইউনিয়ন, উখিয়া।
লেখাটি লেখকের ফেসবুক আইডির ওয়াল থেকে নেওয়া (সামান্য পরিমার্জিত)।