শান্তির বার্তাকে স্থায়ী করতে শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য- প্রধানমন্ত্রী - Southeast Asia Journal

শান্তির বার্তাকে স্থায়ী করতে শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য- প্রধানমন্ত্রী

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

শান্তির বার্তাকে স্থায়ী করতে শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে শাহাদাতবরণকারী অফিসার ও সৈনিক পরিবারের সদস্য ও আহতদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতি, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অঙ্গীকার এবং আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘ ব্লু হেলমেট পরিবারের সদস্য হয়। সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যোগ দেয় এবং পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত হয় এবং গত ৩৫ বছর ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

‘এমনকি এমন এমন জায়গা, অনেক জায়গায় কোনো দেশ হয়তো শান্তিরক্ষী পাঠাতে চায়নি, কিন্তু বাংলাদেশ সাহসের সাথে সে সমস্ত জায়গায়ও শান্তিরক্ষী আমরা প্রেরণ করেছি। কারণ শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজনস্বীকৃত, বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর চৌকস, পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ সদস্যদের অবদান ও আত্মত্যাগ।’

শান্তিরক্ষীদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৫ বছর উদযাপন করছি। অত্যন্ত গৌরব ও আনন্দের এই শুভক্ষণে আমি জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীসহ সকল শান্তিরক্ষীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই, অভিনন্দন জানাই।’

শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তির বার্তাকে স্থায়ী করতে এবং এজেন্ডা-২০২৩ বাস্তবায়নে কালচার অফ পিস (শান্তির সংস্কৃতি) প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমি বিশ্বাস করি। নারী অধিকার এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে আমাদের পদক্ষেপ উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ডা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।

‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে আমাদের নারীরা আগে ছিল না। আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম নারীদের আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আমাদের নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী…সকল ক্ষেত্রেই আমাদের নারীরা এখন সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে এবং শান্তিরক্ষী মিশনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’