জেএসএস (সংস্কার) কর্মী নিহতের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা - Southeast Asia Journal

জেএসএস (সংস্কার) কর্মী নিহতের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

রাঙামাটির বরকল উপজেলার সুবলং এলাকায় জেএসএস (সংস্কার) কর্মী স্মৃতিময় চাকমা ওরফে কোকোর নিহতের ঘটনায় ৬০ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

৯জুন শনিবার সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রণতি বিকাশ চাকমাকে এক নম্বর আসামি করে ৬০ জনের নামসহ আরও ১০ থেকে ১৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরকল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কামাক্কুছড়ার বাসিন্দা প্রীতিময় চাকমা।

অন্যান্য আসামীদের মধ্যে উল্রেখযোগ্য রয়েছেন জনসংহতি সমিতির নেতা গুনেন্দু বিকাশ চাকমা, মঙ্গল কুমার চাকমা, নব বিকাশ চাকমা(নবীন), উদয়ন ত্রিপুরা, নিলোৎপল খীসা, কিশোর কুমার চাকমা, ধীরাজ চাকমা, সুভাষ বসু চাকমা(জার্নাল), সুঅতীশ চাকমা(তন্টু মনি), ফরেন চাকমা, বিধায়ক চাকমা, শরৎজ্যোতি চাকমা, রুপক চাকমা, সুর্বন চাকমা, ধীর কুমার চাকমা, পুলিন চাকমাসহ আরো অনেকে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে দিকে রাঙামাটি শহর থেকে একটি কংকর বোঝায় দুটি ট্রলার সুবলং বাজার হয়ে লংগদুর উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় এমএন লারমা গ্রুপের (সংস্কারপন্থী) সদস্যরা সুবলং বাজারের মাজারের ঘাটে ভিড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়। এতে চালক ট্রলার বোট না থামিয়ে চলে যায়। পরে সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতির সদস্যরা দুটি স্পিড বোট নিয়ে দুটি ট্রলারে বোটকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওই দুটি ট্রলার বোটকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় আমবাগান নামক এলাকায় ওৎ পেতে থাকা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির কর্মীদের সাথে অন্ততপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে স্পিড বোট চালক কোকো চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। বিকালে কোকোর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বরকল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহম্মদ খান জানান, শনিবার ৬০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১৫ থেকে ২০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।