রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চেয়েছে রোহিঙ্গারা - Southeast Asia Journal

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চেয়েছে রোহিঙ্গারা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরানো আরো জটিল হয়ে পড়েছে। এই বিপুল রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে বিভিন্ন তৎপরতা আর বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশের ওপর ভরসা করেও সঙ্কট নিরসনে গতি আসেনি।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে মরিয়া বাংলাদেশ। এর জন্য চীন ও ভারতের দরজায় কড়া নাড়া হচ্ছে বারবার।

উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাই। বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে। রোহিঙ্গা চলে গেলে বাংলাদেশ খুশি।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটির মহাসচিব ও পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমারের সাথে ভারতের সম্পর্ক বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে ভারত তাদের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ মাথায় রাখবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কথায় কিছু কিছু ব্যাপারে ভারতের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকরি কোনো পরিবর্তন নয়।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাখাইন রাজ্য থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের ঢল নেমেছিল বাংলাদেশে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দিনটিকে স্মরণ করে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে সমাবেশ করেছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সমাবেশ থেকে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার এবং দ্রুত প্রত্যাবাসন না হলে একযোগে বারো লাখ রোহিঙ্গা স্বদেশে ফিরে যাবে বলে মিয়ানমার সরকারকে হুঁশিয়ারি দেয়।

রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটি বোর্ড মেম্বার মাস্টার ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আমরা আরো জোর দাবি জানাব। তাতেও যদি আমাদেরকে না নিয়ে যায়, তখন আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নিয়ে বর্ডার ভেঙে আমাদের দেশে ঢুকে যাব।’

সমাবেশে ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শনের পাশাপাশি বক্তারা বলেন, ‘জন্মসূত্রে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক আমরা। গণহত্যা, জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছি। এটা শরণার্থী জীবন। আমরা এমন জীবন চাই না, স্বদেশে ফিরতে চাই।’

এর জন্য আন্তর্জাতিক সকল মহলের সহযোগিতা চেয়েছে রোহিঙ্গারা।

উখিয়ার কুতুপালংস্থ লম্বাশিয়া ১ নম্বর ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আরাকান রোহিঙ্গা পিস ফর হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের। এতে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন, রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির বোর্ড সদস্য ছৈয়দ উল্লাহ, নারী সদস্য হামিদা, মোহাম্মদ মুসা, মাস্টার শোয়াইব।