বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও এসবি প্রধান উখিয়া যাচ্ছেন মঙ্গলবার - Southeast Asia Journal

বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও এসবি প্রধান উখিয়া যাচ্ছেন মঙ্গলবার

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান শুরু করলে প্রাণভয়ে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রিত ছিল। সব মিলিয়ে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার ৩৪ শিবিরে রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে তারা। সম্প্রতি ইয়াবা সেবন, ব্যবসা, বহন, খুন, ডাকাতিসহ নানা ধরণের ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকেরা। এ ছাড়া তাদের টার্গেট করে মানব পাচারকারী চক্রও সক্রিয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সেখানকার নিরাপত্তা ঘিরে নতুনভাবে ভাবছে সরকার। ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি করণীয় নির্ধারণ করতে এবং বিশেষ করে সম্প্রতি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তুলে ধরে তাদের উদ্বেগের কথা জানানোর প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে তিনটি বাহিনী ও একটি সংস্থার প্রধানরা মঙ্গলবার টেকনাফ যাচ্ছেন।

এদিন টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাব মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির প্রধান মীর শহিদুল ইসলাম।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সমস্যা সরেজমিনে দেখার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কথা শুনবেন এবং সেখানে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করবেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানাবেন বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার প্রধানরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে তাদের ভাবনার কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরবেন তারা। এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে কোনো সীমানাপ্রাচীর নেই। তাই যে কোনো জায়গা হয়ে তারা ক্যাম্প থেকে আসা-যাওয়া করতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট পথ হয়ে ক্যাম্পে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকলে সেখানকার নিরাপত্তা আরও স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হতো। তিনটি বাহিনী ও একটি সংস্থার প্রধান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর ক্যাম্পের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানাপ্রাচীরের বিষয়টি উঠে আসতে পারে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় টেকনাফে পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে ক্যাম্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। ক্যাম্পের মধ্যে আরও কিছু এলাকায় বসানো হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ক্যাম্পের ভেতরে আরও লাইটের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত আসবে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় ক্যাম্পের ভেতরে সব জায়গায় গাড়ি নিয়ে টহল দেওয়া যায় না এখন, সেদিকেও নজর দেওয়া হতে পারে। ক্যাম্পে থাকা যেসব রোহিঙ্গা নিয়মিত রেশন পাচ্ছে, তাদের তালিকা হালনাগাদ করা হবে। যেসব রোহিঙ্গা অপরাধে জড়িয়ে পালিয়ে আছে, তাদের রেশন বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হবে।