মিয়ানমারে চার দিনে সংঘাতে জান্তার ৩৯ সেনা নিহত

নিউজ ডেস্ক
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে চার দিনে জান্তা সরকারের আরও ৩৯ সেনা নিহত হয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্রোহীদের জোট পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গ্রুপস (পিডিএফএস) ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলোর সংগঠন ইএওর সঙ্গে সংঘর্ষকালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত ইরাবতি অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার বিদ্রোহী জোট পিডিএফএস সাগাইন অঞ্চলের তেইজ শহর দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এদিন মাগওয়া, তানিনথারিয়া, মন, কাইয়াহ ও চিন প্রদেশে লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। তেইজ শহরের একটি পুলিশ স্টেশন বিদ্রোহীরা দখল করে নিলে বিমান থেকে বোমা ফেলে মিয়ানমার জান্তা সরকার। সোমবার তানিনথারিয়া এলাকার পালাউ শহরতলিতে এক সেনাসদস্য নিহত হন।
চিন প্রদেশের বিদ্রোহী সংগঠন চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, প্রদেশেটির রাজধানী শহর হাখায় লড়াইয়ে রবি ও সোমবার কমপক্ষে সাত সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন। বাহিনীটি বলছে, মিয়ানমারে লড়াইরত বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর প্রধান জোট ব্রাদাহুড অ্যালায়েন্সের ‘অপারেশন-১০২৭’ সফল করতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন এ বিদ্রোহী জোটের নিয়ন্ত্রণে।
পিডিএফএস জানিয়েছে, মন প্রদেশে বড় ধরনের হারের মুখোমুখি হয়েছে জান্তা সরকার। সেখানে সরকারের বর্ডার গার্ড ফোর্সের আরও ১১ সদস্য নিহত হয়েছেন। একজন বিদ্রোহীও এ লড়াইয়ে নিহত হন। এ ছাড়া অন্য প্রদেশগুলোতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
মিয়ানমারজুড়ে সংঘর্ষের মধ্যে গতকাল বুধবার রাখাইন প্রদেশের পাকতাওয়ে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে জান্তা সরকার। ২০ হাজার বাসিন্দার ওই শহরটি এরই মধ্যে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি নিজেদের দখলে নিয়েছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, পাকতাওয়ের দখল ফিরে পেতে গত কয়েকদিন ধরেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকারের বাহিনী; থেমে থেমেই সেখানে লড়াই চলছে।
শহরটি রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাসিন্দা জানান, জান্তা বাহিনী ভারী অস্ত্র দিয়ে শহরটিতে অব্যাহতভাবে হামলা চালাচ্ছে; যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে।