বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়ায় ব্যবহার হচ্ছে যুদ্ধবিমান-হেলিকপ্টার-র্যাডার-ইউএভি
নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক মহড়া-২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মহড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর বৈমানিকরা আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল অনুসরণ করে যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, ইন্টারসেপশন, আকাশ থেকে শত্রুকবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রশদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারসহ সব ধরনের মিশন পরিচালনা করছেন।
মহড়া উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকায় অবস্থিত বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে বিভিন্ন প্রকার বিমানের মহড়ার বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা রয়েছে এবং অনুশীলনের মাধ্যমে এই সক্ষমতা আরও বাড়বে। এ মহড়ার মাধ্যমে নতুন সংযোজিত র্যাডার এবং আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) এর সক্ষমতা নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, মহড়াটি বিমানবাহিনীর সব ঘাঁটি, সিলেট, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, রসুলপুর ও সুধারামে অবস্থিত বিভিন্ন ইউনিট থেকে সারাদেশে গত ৩ মার্চ থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
এ মহড়ায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধ ও পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ও র্যাডার, মিসাইল ইউনিট এবং আনম্যান্ড এরিয়াল সিস্টেম ইউনিটসহ সব প্রকার যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। মহড়ায় বিমানবাহিনীর বিভিন্ন র্যাডার স্কোয়াড্রনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের আক্রমণকে চিহ্নিত করে নিজ বাহিনীর যুদ্ধবিমান ও মিসাইল ইউনিটের সহায়তায় এ আক্রমণকে প্রতিহত করার কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভূমিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সব কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও কমান্ডো দল কর্তৃক Combat Search & Rescue (CSAR) মিশন, পরিবহন বিমান দ্বারা জরুরি রসদ স্থানান্তর, বিমান বাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় বোমা অথবা বিস্ফোরকদ্রব্য শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ এবং স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে Air Defence Alert (ADA)-এ কর্তব্যরত যুদ্ধ বিমানকে ব্যবহার করা, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি এবং সময় সংবেদনশীল টার্গেটে আক্রমণ ইত্যাদি অনুশীলন করা হচ্ছে।
এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তা যাচাই এবং বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকরী যুদ্ধ সক্ষমতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকগুলো নির্ণয় করে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।