শান্তিপ্রিয় পাহাড়ে অশান্তি চাই না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
পাহাড় শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানে শান্তির সুবাতাস বইত। এখানে কোনো অশান্তি হোক তা চাই না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (০৬ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের রুমায় পৌঁছে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যে ঘটনাই ঘটুক, তদন্ত করে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পার্বত্যাঞ্চলকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। হামলার ঘটনায় কারো গাফিলতি আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রীর সফরসূচি অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১২টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক মিলিত হন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।
স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে।
এ সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়।