স্কুল ছাত্রী পলি হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে গুইমারায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
 
                 
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ির গুইমারার বাসিন্দা ও চট্টগ্রামের হালিশহর আহম্মদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রেবেকা সুলতানা পলি হত্যার বিচার ও হত্যাকারী লম্পট বাড়িওয়ালা এ. কে খানের ফাঁসির দাবিতে গুইমারাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭অক্টোবর) সকাল ১০টায় গুইমারা উপজেলা সদরে গুইমারা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহন করেন।
যুব রেড ক্রিসেন্ট গুইমারা ইউনিটের যুব প্রদান মীর বাবলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন, গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, গুইমারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: ইউছুফ, হাফছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সুই মং মারমা, হাফছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো: সাগর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,রেবেকা সুলতানা পলিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৪দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পলি হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু বিচার নিয়ে কোনো কারসাজি হলে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে কঠোর কর্মসুচী গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য, নিহত স্কুল ছাত্রী রেবেকা সুলতানা পলি (১৩) গুইমারা উপজেলার ডাক্তার টিলার মালয়েশিয়া প্রবাসী ফিরোজ খান ও সকিনা খাতুন দম্পতির সন্তান। চট্টগ্রামের হালিশহর আহম্মদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। চট্টগ্রামের ইয়াংওয়ানে চাকুরীর সুবাদে নিহত পলির মা সকিনা খাতুন এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ৩৮ নং ওয়ার্ডের কুড়ির পাড়ের এ.কে খানের ৫তলা ভবনের নীচতলায় ভাড়া থাকতেন। মায়ের চাকুরীর কারণে মেয়েকে একাই থাকতে হতো বাড়িতে। এ সুযোগে লম্পট বাড়িওয়ালা এ.কে খান (৪০) প্রায় পলিকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করতো। বিষয়টি মেয়ে মাকে জানালেও তিনি ততটা গুরুত্ব দেননি। ২রা অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে রহস্যজনক ভাবে ঝুলন্ত পলির উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। পলির মায়ের দাবী পলিকে হত্যা করা হয়েছে।
