ইউপিডিএফ নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ইউপিডিএফ ও জেএসএস-এর মতো সংগঠনগুলো। এ পরিস্থিতিতে ইউপিডিএফ নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯৯৭ সালের বিতর্কিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২৪২টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের পর থেকে ইউপিডিএফ ও জেএসএস পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা জোরদার করেছে। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করে এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, “ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং বাংলাদেশ, ভারত ও আরাকানে বিস্তৃত ইউপিডিএফ একটি ত্রিদেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠন। এদের সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এরা বাংলাদেশের সেনা সদস্য, বাঙালি সাধারণ জনগণ এবং পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিরীহ মানুষের হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এই সংগঠনের সাথে বৈঠক করা মানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।”
তিনি আরও বলেন, “যারা ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হয়ে ইউপিডিএফকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বৈঠকের আয়োজন করেছেন, তাদের দ্রুত অপসারণ ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মারুফ বলেন, “রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত আরাকান আর্মির সহযোগী ইউপিডিএফ-কে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসন ও তথাকথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ খুলে যাবে। এই বৈঠকের মাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদকে পরোক্ষভাবে উস্কে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় না এনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আপ্যায়ন করা রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।”
সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ৩ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়:
১. ইউপিডিএফ-এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২. জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যারা ইউপিডিএফ-এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা করছেন, তাদের অপসারণ করতে হবে।
৩. বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক প্রত্যাহারকৃত ২৪২টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষা ও পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে বিশেষ বা আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।