ঢাকায় পিসিসিপির মানববন্ধন: ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ’ বাতিলের দাবি
 
                 
নিউজ ডেস্ক
‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল, সাংস্কৃতিক বৈষম্য ও উপদেষ্টা নিযুক্তদের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার বিরুদ্ধে চার দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার বিকেলে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) ঢাকা মহানগর শাখা।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসানের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ।
তিনি বলেন, “পাহাড়ি-বাঙালির আশাবাদের বিপরীতে মন্ত্রণালয় ও কিছু উপদেষ্টার বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নতুন করে বিভেদের বীজ বপন করছে। ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট’ নামকরণের প্রস্তাব এবং পরিচালনা কমিটিতে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সদস্য মনোনয়নের বিধান সংবিধানবিরোধী ও পক্ষপাতদুষ্ট।”
প্রধান বক্তা হিসেবে পিসিসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. রাসেল মাহমুদ বলেন, “উপজাতীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সন্ত্রাসী তৎপরতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হাজার হাজার বাঙালি তরুণ আজ বেকার। তাছাড়া গুচ্ছগ্রামের প্রায় ৪০ হাজার বাঙালি তিন বছরের কথা বলে ৩৫ বছর ধরে বঞ্চনায় রয়েছে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র আহ্বায়ক জিয়াবুল হক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল-আমিন, বান্দরবান জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, লামা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ও পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বক্তব্য ও ভূমিকা সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের বিরোধী। তারা আদিবাসী স্বীকৃতির গোপন পথ তৈরি করে পার্বত্য অঞ্চলে বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অধিকারকে উপেক্ষা করছেন। এছাড়া পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের ৯০ শতাংশ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
চার দফা দাবিসমূহ হলো:
১. ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৬ সদস্যের মনোনয়ন বিধান বাতিল করতে হবে।
৩. উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্ত ও পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে পার্বত্য জনপদে অসন্তোষ বাড়ছে। ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এ ধরনের মানববন্ধন বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
