সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগে হাসি ফিরেছে নদীভাঙনে গৃহহীন দুই পরিবারে
 
                 
নিউজ ডেস্ক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামে নদীভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়া দুই অসহায় পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বসতভিটা হারানো এই পরিবারগুলো সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর নির্মিত নতুন ঘর বুঝে পায়।
সেনাবাহিনীর নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত এই মানবিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন ক্যাম্প ইনচার্জ মেজর আশরাফুল ইসলাম তামিম। তিনি দুটি পরিবারকে ঘরের চাবি তুলে দেন এবং ঘরের বাকি প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
যে পরিবার দুটি নতুন ঘর পেয়েছে তারা হলেন—গালিমপুর গ্রামের অর্জুন বিশ্বাস (৪৮) এবং একই গ্রামের আব্দুর রহিম (৪২)। নদীভাঙনে সর্বস্ব হারানো এই পরিবারদ্বয় দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং সংলগ্ন গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। সেই সময় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টহল দল গালিমপুর সংলগ্ন ডাইক এলাকা পরিদর্শনে গেলে এই দুই পরিবারের করুণ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে। পরে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মেম্বার আকুল মিয়া এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, “এ ধরনের মানবিক সহায়তা শুধু ঘর নয়, আশার আলো ফিরিয়ে আনে। সেনাবাহিনীর প্রতি এলাকাবাসীর আস্থা আরও দৃঢ় হয়েছে।”
সেনা সদস্যদের এই সহানুভূতিশীল ভূমিকা এলাকার মানুষের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং গরিব-অসহায়দের পাশে সেনাবাহিনী যে কেবল অস্ত্র নয়, মানবিক হাত বাড়িয়ে দেয় তা প্রমাণিত হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
