তৃতীয় শ্রেণিতেও মাতৃভাষায় বই পাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা - Southeast Asia Journal

তৃতীয় শ্রেণিতেও মাতৃভাষায় বই পাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের প্রথমদিন (১লা জানুয়ারি) পালিত হয়েছে বই উৎসব। এদিন সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করে সরকার। প্রতিবছরের মতো এবারও খাগড়াছড়িতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে তাদের মাতৃভাষায় লেখা বই দেওয়া হয়েছে। তবে এবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও মাতৃভাষায় লেখা বই পেয়েছে।

শিক্ষক,আশাপ্রিয় ত্রিপুরা বলেন, ‘মাতৃভাষায় বই দেওয়া সরকারের অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। আগে শিশুরা মাতৃভাষার অক্ষরও চিনতো না। এখন তারা মাতৃভাষার অক্ষর চিনতে পারছে, পড়তে ও লিখতে পারছে। এতে করে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুরা নিজেদের ভাষাকে রক্ষা করতে পারবে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, সরকারের উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশুরা মাতৃভাষায় পড়তে পারছে। প্রথমে প্রাক-প্রাথমিকে দেওয়া হলেও পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি মাতৃভাষায় বই দেওয়া হয়। এবছর নতুন করে তৃতীয় শ্রেণিতে শুধুমাত্র বাংলা বিষয়ে মাতৃভাষায় বই দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার ৯ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ পাঠক্রম ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার জন্য বই বিতরণ করে সরকার। তখন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, এবং সাদ্রি এই পাঁচ ভাষায় বই বিতরণ করা হতো। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষাভাষি শিশুরা প্রাক-প্রাথমিক বই পায়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে প্রথম শ্রেণি, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় শ্রেণি ও ২০২০ সালে তৃতীয় শ্রেণিতেও মাতৃভাষায় বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সরকার। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় পড়তে পারবে দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা।

You may have missed