শহীদ লেফটেন্যান্ট জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তমের শাহাদাতবার্ষিকীতে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

শহীদ লেফটেন্যান্ট জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তমের শাহাদাতবার্ষিকীতে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

শহীদ লেফটেন্যান্ট জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তমের শাহাদাতবার্ষিকীতে সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আজ শহীদ লেফটেন্যান্ট জিএম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তম এর ৩৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর শ্রদ্ধার সাথে এই বীর সেনাসদস্যকে স্মরণ করছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনিই হলেন একমাত্র ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রাপ্ত সেনাসদস্য।

শহীদ লেফটেন্যান্ট জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তম গত ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৬ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ১৫ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন এবং ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারিতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে একই ইউনিটের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার বাঘাইহাট জোনের অন্তর্গত লক্ষীছড়ি সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ তারিখ কাসালং রিজার্ভ ফরেস্টের ঢেরাছড়া এলাকায় গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী শান্তিবাহিনীর আস্তানার তথ্য পেয়ে আনুমানিক রাত ৩ টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি তার আভিযানিক দল সহ গমন করেন। উক্ত অভিযানে তিনি অত্যন্ত সাহসিকতা সাথে ৩ জন শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সদস্যকে ঘায়েল করেন। সেইসাথে ২টি অস্ত্র, গোলাবারুদ, ইউনিফর্ম ও বিভিন্ন গোপনীয় দলিল পত্র উদ্ধার করেন।

তবে অভিযানের এক পর্যায়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায়ও তিনি তাঁর অধিনস্থদের অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে দিক নির্দেশনা প্রদান করে যান। যার ফলে তাঁর অধিনস্থ সেনাসদস্যগণও অফিসারের শরীরে গুলির আঘাতের ঝুঁকি আঁচ করতে পারেনি। সফল অভিযান শেষে তাঁর রানার সৈনিক (ওসিইউ) মোস্তফা লক্ষ্য করে লেঃ মুশফিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় রানার চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করে, “স্যার গুলি লেগেছে বলেননি কেন?” লেঃ মুশফিক তখন হাসিমুখে বলেন “আমার গুলি লেগেছে তা দেখলে তোমরা ভয় পেতে, দেশের চেয়ে আমার জীবন বড় নয়”। এক সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে এই অকুতোভয় নির্ভীক দেশপ্রেমিক অফিসার ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮ টায় শাহাদৎ বরণ করেন। শরীরে বুলেট ধারণ করে নেতৃত্ব দেওয়ার যে অসাধারণ উদাহরণ লেঃ মুশফিক দিয়ে গেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি ১৯৯০ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই বীর যোদ্ধাকে মরনোত্তর বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেন। তাঁর বীরত্ব গাঁথা স্মরনীয় করে রাখার জন্য পরবর্তীতে লক্ষীছড়ি ক্যাম্পের নামকরণ করা হয় শহীদ লেফটেন্যান্ট জি এম মুশফিকুর রহমান আর্মি ক্যাম্প।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।