নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারো গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।মিয়ানমারের ভেতর থেকে আসা গোলাগুলির শব্দে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে রাত জেগে কাটিয়েছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত টানা প্রায় আধাঘণ্টা ধরে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল বলেন, রাতে হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলির শব্দে হঠাৎ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাকিম আজিজ জানান, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ করে সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলির শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। এরপর একপর্যায়ে বিকট বিস্ফোরণের মতো শব্দও শোনা যায়, যা মর্টার শেলের বিস্ফোরণ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আবারও সীমান্তের ওপার থেকে এমন তীব্র গোলাগুলির শব্দ শুনলাম। একসাথে প্রায় ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। গুলির শব্দে সীমান্তের মানুষ আতঙ্ক রাত কাটান।’

স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান জানান, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি ক্যাম্প— ‘রাইট’ ও ‘লেফট’ তুমব্রু— এর কাছ থেকে গুলির শব্দ আসছিল। এই ক্যাম্পগুলো ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাদের কাছ থেকে দখল করে নেয় আরাকান আর্মি।

তিনি বলেন, ‘অঞ্চলটিতে আরাকান আর্মি ও জান্তার মধ্যে সংঘর্ষ আগেও হয়েছে। তবে এবার ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে অন্য কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের (আরসা বা আরএসও) গোলাগুলি হতে পারে।’

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, ‘গোলাগুলি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ গজ ভেতরে ঘটেছে। ঘটনাটি ছিল মূলত তাদের অভ্যন্তরীণ। বাংলাদেশের ভেতরে কোনো প্রভাব পড়েনি, আমাদের সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে, বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি দাবি করেছিল যে তারা মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed