পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর অবিচল অঙ্গীকার

পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর অবিচল অঙ্গীকার

পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর অবিচল অঙ্গীকার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও নানাবিধ জাতিগোষ্ঠীর সহাবস্থানে সমৃদ্ধ পার্বত্য জেলা বান্দরবান। এই জেলার শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান রিজিয়ন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। লক্ষ্য একটাই—পাহাড়ের মানুষ যাতে নিরাপদ, স্বাভাবিক ও উন্নত জীবনযাত্রা উপভোগ করতে পারে।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় আটক করা হয় মোট ১৯৯ জন বম সদস্যকে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ও আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর অবিচল অঙ্গীকার

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে জামিনপ্রাপ্ত ২৮ জন বম সদস্য বান্দরবান রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসময় রিজিয়ন কমান্ডার তাঁদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান। শুধু তাই নয়, পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে প্রত্যেককে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন— “ধর্ম, বর্ণ ও জাতি নির্বিশেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবার জন্য কাজ করছে। পাহাড়ে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

শুধু জামিনপ্রাপ্ত সদস্যদের পুনর্বাসনই নয়, যারা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে মিজোরামসহ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিজ নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছেন। ইতোমধ্যে মিজোরাম থেকে ফিরে আসা ১৬২টি পরিবারের ৪১৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বান্দরবানে অসহাপাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর অবিচল অঙ্গীকারয়-হতদরিদ্র বম সম্প্রদায়ের মাঝে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এসব প্রত্যাবর্তনকারী পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী—চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ ও চিনি সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় উপকরণ, আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করছে।

বান্দরবানের মানুষ সেনাবাহিনীর এমন মানবিক উদ্যোগে স্বস্তি ও নিরাপত্তা অনুভব করছে। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানেই পাহাড়ে শান্তি ফিরছে, সন্ত্রাসের দমনে অগ্রগতি হচ্ছে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় পাহাড়ের সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে—এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, “শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি পাহাড়ি জনগণের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর।”

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।