আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে ত্রিপুরা যুবক কর্তৃক চাকমা নারী ধর্ষণ, সেনা সহায়তায় ধর্ষক আটক
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা তারেং পর্যটন কেন্দ্রে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া চাকমা সম্প্রদায়ের এক স্কুল শিক্ষিকাকে (২৯) অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লিটন ত্রিপুরা (২৪) নামে ওই ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তারেং এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটক লিটন ত্রিপুরা (২৪) খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার দক্ষিণ মহালছড়া গোলাবাড়ী এলাকার বাচ্চুরাম ত্রিপুরার ছেলে। আর ধর্ষিতা ওই নারী একউ উপজেলার নারায়নখাইয়া এলাকার বাসিন্দা।
এজাহার ও ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী, চাকমা সম্প্রদায়ের ওই শিক্ষিকা এদিন খাগড়াছড়ি সদরে এক বান্ধবীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি স্কুল জীবনের বন্ধু মো. আরিফুল ইসলামের মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। এ সময় লিটন ত্রিপুরা মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের পিছু নেয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা যখন তারেং এলাকায় পৌঁছান, তখন লিটন তাদের পথরোধ করে। সে প্রথমে আরিফুল ইসলামের মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়, এরপর শিক্ষিকাকে হুমকি দেয় এবং বলে তার কাছে রিভলভার আছে, চুপচাপ না থাকলে গুলি করবে। পরে সে শিক্ষিকাকে তারেংয়ের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, এবং ঘটনাস্থলেই দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী বন্ধু আরিফুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি টাকা আনতে যান বলে কৌশলে সেনাবাহিনীকে খবর দেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষক লিটন ত্রিপুরাকে আটক করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক জানান, “ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা লিটন ত্রিপুরাকে আটক করেছি। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এর মাত্র দুই দিন আগে, ২০ অক্টোবর একই উপজেলার অযোধ্যা এলাকায় শ্যামা পূজা দেখতে গিয়ে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক কিশোরী (১৫) নিজ সম্প্রদায়ের চার যুবকের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়।
সেই ঘটনায়ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনজনকে আটক করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
দুই দিনের ব্যবধানে পরপর দুই ধর্ষণ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, “মাটিরাঙ্গার মতো শান্ত এলাকায় পাহাড়ি যুবকদের মধ্যে অস্ত্রসজ্জিত অপরাধ প্রবণতা ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে।”
তারা দ্রুত বিচার ও পাহাড়ে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।