বর্মাছড়িতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা ইউপিডিএফের, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রসংসদের নিন্দা
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মীয় ভিক্ষুদের জিম্মি করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘাত সৃষ্টি এবং পরিস্থিতি ধর্মীয় দাঙ্গার দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টার অভিযোগে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ)-এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রসংসদ (CHTSF)।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক গাজী ইমরান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে একটি গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে অস্ত্রধারী ইউপিডিএফ সদস্যরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জিম্মি করে নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেছে, যা সরাসরি জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাত উসকে দেওয়ার সমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতে ইউপিডিএফ নারী ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে সশস্ত্র মুখোমুখি পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। এবার তারা ধর্মীয় নেতাদের অস্ত্রের মুখে ব্যবহার করে ‘ধর্মীয় উত্তেজনা ও জাতিগোষ্ঠীগত সংঘাত সৃষ্টি’কে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও বিপজ্জনক।
বিবৃতিতে চার দফা দাবি জানানো হয়—
১) পূর্বে অপসারিত সেনা নিরাপত্তা চৌকিগুলো পুনঃস্থাপন,
২) পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার,
৩) ইউপিডিএফসহ সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা,
৪) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রসংসদ দাবি করে, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিসহ পাহাড়ি-বাঙ্গালি বসতিপূর্ণ এলাকায় ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি, দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। সংগঠনটি অভিযোগ করে—চাকমা, মারমা, চাক, খিয়াংসহ পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বাঙ্গালি সকল জনগোষ্ঠীর শান্তি-সহাবস্থানকে ভেঙে দিয়ে ‘দ্বৈত বিভাজন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এই ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র আধিপত্য ও চাঁদাবাজি নিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনসাধারণ ও নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।