থাইল্যান্ডে ভেঙে দেওয়া হলো পার্লামেন্ট, ২ মাসের মধ্যে নির্বাচন

থাইল্যান্ডে ভেঙে দেওয়া হলো পার্লামেন্ট, ২ মাসের মধ্যে নির্বাচন

থাইল্যান্ডে ভেঙে দেওয়া হলো পার্লামেন্ট, ২ মাসের মধ্যে নির্বাচন
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ক্ষমতায় আসার মাস তিনেকেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক রাজ আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এই আদেশের ফলে দেশটিতে আগামী ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আদেশের লিখিত অনুলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাতে বলা হয়, তার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত তিন মাসে সীমান্তে সংঘাতসহ বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছিল। তাই সমীচীন সমাধান হলো পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া। এতে রাজনৈতিক ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার একটি পথ তৈরি হলো।

গত দুই বছরে থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজনেস টাইকুন আনুতিন। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি জানুয়ারির শেষ নাগাদ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ে তিনি নির্বাচন এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন।

গত মাসে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী আনুতিন এবং তার দল ভূমজাইথাই পার্টি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। ওই দুর্যোগে অন্তত ১৭৬ জনের প্রাণহানি হয়েছেন।

এদিকে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটেই আসে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন অনুমোদিত ডিক্রিতে আনুতিন লিখেছেন, সরকার দেশজুড়ে জরুরি সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানে প্রশাসনিক সব পন্থাই গ্রহণ করেছে। কিন্তু দেশ পরিচালনায় স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রশাসন ধারাবাহিক, কার্যকর ও স্থিতিশীলভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছিল না।

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে, প্রধানমন্ত্রীর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে আইনসভার বৃহত্তম দল, তরুণ-প্রগতিশীল পিপল’স পার্টি। এই দলের সঙ্গে রক্ষণশীল ভূমজাইথাইয়ের আদর্শগত বৈপরীত্য থাকলেও, চার দফা শর্তে দলটি আনুতিনের দলকে সমর্থন দিয়েছিল- যার মধ্যে ছিল সেনাবাহিনী প্রণীত সংবিধান সংস্কার ও চার মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া।

পিপল’স পার্টির অভিযোগ, ভূমজাইথাই সেই চুক্তি রক্ষা করেনি। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার দলটি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এর আগের দিনই তারা প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে “জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা দেখাতে” আহ্বান জানায়।

গত এক বছরে থাইল্যান্ডে দুইবার প্রধানমন্ত্রী পদে বদলের ঘটনায় দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আনুতিনের পূর্বসূরি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়। তার ফাঁস হওয়া এক ফোনকলে থাই সেনাবাহিনীর সমালোচনা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করতে শোনা যায়।

তার আগের প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিনও নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে অপসারিত হন। তিনি নিজের আইনসভায় কারাদণ্ড ভোগ করে আসা এক আইনজীবীকে নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার শিকার হন।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed