হেডম্যান রিপোর্টে মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেন চেয়ারম্যান, বাঙ্গালিদের কি বাজার ফান্ডের পরিণতি হবে?

হেডম্যান রিপোর্টে মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেন চেয়ারম্যান, বাঙ্গালিদের কি বাজার ফান্ডের পরিণতি হবে?

হেডম্যান রিপোর্টে মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেন চেয়ারম্যান, বাঙ্গালিদের কি বাজার ফান্ডের পরিণতি হবে?
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

মোঃ সাইফুল ইসলাম

সম্প্রতি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মতামত/নির্দেশনা চেয়ে পাঠানো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এক চিঠিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর মাঝে এক নতুন উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা তৈরী হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখা গেছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। এমনই একটি চিঠির প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাজার ফান্ডের লিজকৃত জমির বিপরীতে বন্ধকী ঋণ প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া ও এরপর হাজার হাজার বাঙ্গালি ব্যবসায়ীর ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঘটনাকে সামনে এনে সাম্প্রতিক চিঠি চালাচালিতে পাহাড়ে বাঙ্গালিদের জমি-ক্রয় বিক্রয় প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। বাঙ্গালিদের জমি ক্রয়-বিক্রয়ে হেডম্যান রিপোর্টের বাধ্যবাধকতা নিয়ে তৈরী হওয়া ওই জটিলতায় পাহাড়ের উপজাতি হেডম্যানদের কার্যক্রম নিয়েও উঠে আসছে নতুন বিতর্ক। আবার এসবের পেছনে জেলা প্রশাসকদেরও দায় কম নয়।

চলতি বছরের জুলাই মাসের ২৯ তারিখ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, হেডম্যানের প্রতিবেদন ছাড়াই আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য জেলা পরিষদের অনুমোদন চাওয়া হচ্ছে মর্মে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে এবিষয়ে মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা/মতামত চান। চিঠির চুম্বক অংশে উল্লেখ করা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২২/১০/২০০৬ খ্রি. তারিখের প্রজ্ঞাপন (স্মারক: পাচবিম (প-১)-বা-বান/বিবিধ/১২/৯৯/০৩) অনুযায়ী, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ জমি মিউটেশন কার্যক্রম শুরু করতে পারে শুধুমাত্র বিক্রেতার আবেদন, হেডম্যান ও কানুনগো/সার্ভেয়ারের যৌথ প্রতিবেদন, জমাবন্দি, ক্যাচম্যাপ এবং জেলা প্রশাসকের সুপারিশ প্রাপ্তির পর। কিন্তু বর্তমানে সিভিল স্যুটের রায়ের ভিত্তিতে হেডম্যানের প্রতিবেদন ছাড়াই জেলা প্রশাসক বিবিধ মামলা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠাচ্ছেন। এতে ভূমি জটিলতার আশঙ্কা থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত বা নির্দেশনা প্রয়োজন।’

অপচয়, বৈষম্য ও সাংবিধানিক লঙ্ঘনের অভিযোগে তীব্র বিতর্কে রাঙামাটির পাজেপ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার

মূলত চিঠির এই চুম্বক অংশ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই স্থানীয় জমির মালিক ও ক্রেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এর পেছনে অন্তত কয়েকটি পোক্ত কারণ রয়েছে। খোলা দৃষ্টিতে কাজল তালুকদার কর্তৃক মন্ত্রনালয়ের মতামত/নির্দেশনা চেয়ে প্রেরিত চিঠিটি একটি সাধারণ চিঠি মনে হলেও এর পেছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পনা। ঠিক এমনই এক সাদাসিদে সাধারণ চিঠির কবলে পড়ে পাহাড়ের অন্তত ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী নিজেদের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার অপেক্ষায়। বাজার ফান্ডের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রনালয় থেকে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মতামত/মূল্যায়ন চেয়ে প্রেরিত পত্র গত ৬ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি।

অপরদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্রিটিশ আমলের ধারাবাহিকতা রক্ষায় একটি মৃত আইন (আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে) সিএইচটি রেগুলেশনকে বলবৎ রাখতে চাওয়া কিছু রাষ্ট্রবিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল এবং সরকারী কর্মকর্তাদের অতি আগ্রহের কবলে পিষ্ট হচ্ছেন সাধারন বাঙ্গালিরা। বৃটিশ আমল থেকে খাজনা আদায়ের দায়িত্বে থাকা হেডম্যানরা পাহাড়ে পাহাড়ি ও বাঙ্গালিদের মাঝে সাম্প্রদায়িক দেয়াল তৈরীতে অনন্য ভূমিকা রাখছেন। হেডম্যান রিপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে জমির ক্রেতা বা বিক্রেতা যে কেউ একজন কিংবা উভয়ই বাঙ্গালি হলে রিপোর্ট দিতে অনীহা, জমির চৌহদ্দি পরিবর্তন, মোটা অংকের ঘুষ দাবিসহ নানা অজুহাতে বাঙ্গালিদের হয়রাণি করাই যেন এখন পাহাড়ের উপজাতি হেডম্যানদের রোজকার কাজ। এছাড়া সরকারী ভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মৌজা প্রধানের কার্যালয় স্থাপন করে দিলেও হেডম্যানরা সেখানে বসে অফিস করেন না। নিজ বাড়িতে অনেকটা জমিদারি স্টাইলে পাইক-পেয়াদা নিয়ে অফিস করেন তারা। এতে করে সেবাপ্রার্থী বাঙ্গালী সম্প্রদায়কে প্রজার মতো তার দরবারে হাজির হয়ে তোষামোদ করতে হয়।

হেডম্যান রিপোর্টে মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইলেন চেয়ারম্যান, বাঙ্গালিদের কি বাজার ফান্ডের পরিণতি হবে?
ছবিতে, রাঙমাটিতে জমি রেজিষ্ট্রেশনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করার মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা, রাঙামাটির যুগ্ন জেলা জজ আদালতে দায়েরকৃত দেওয়ানী মামলার নথি ও আদালত কর্তৃক জেলা প্রশাসককে দেয়া নির্দেশনা পত্র।

পার্বত্য চট্টগ্রামে হেডম্যান নিয়োগের একক ক্ষমতাবলে জেলা প্রশাসকরা বিভিন্ন মৌজা ভিত্তিক হেডম্যান নিয়োগ দেন। যারা মূলত খাজনা আদায়ের পাশাপাশি জমির মালিকানা প্রত্যয়ন প্রদানের কাজও করে থাকেন। তবে শতভাগ উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়োগ পাওয়ায় এ পদটি বর্তমানে উপজাতিকেন্দ্রীয় একটি বৈষম্যমূলক পদে পরিণত হয়েছে। বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের লোকজন একজন হেডম্যানের কাছে কোন ধরনের নাগরিক সেবা পান না বললেই চলে। হেডম্যানরা বাঙ্গালিদের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব বা নেতিবাচক প্রতিবেদন দেন এবং খাজনা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান, যার ফলে বাঙালিদের জমি লেনদেন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। অনুসন্ধান করলে এমন অহরহ ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

বাঙ্গালীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার আরেকটি বিশেষ কারণ হলো, প্রশাসনের অতি কঠোর নিয়ম-নীতি। পাহাড়ে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও চার্কেল চীফ অথবা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে স্থায়ী বাসিন্দা সনদ গ্রহন করার ক্ষেত্রে পদে পদে হয়রানি, মিউটেশন মামলায় উপজেলা পর্যায়ে সহকারী কমিশনার কর্তৃক শুনানী থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক কর্তৃক শুনানী পর্যন্ত দুর্গম এলাকার বাঙ্গালি জমির মালিকদের হতে হয় নানা হয়রানি ও উৎকোচ প্রদানের শিকার। অন্যদিকে, হেডম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ ও অর্থের বিনিময় হয় বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠলেও জেলা প্রশাসকরা এসবের কোন তদন্ত বা প্রতিকারের চেষ্টাও করেন নি।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদারের গাড়ি বিলাস

এর বাইরে, বিভিন্ন সময়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একই জমির বিপরীতে একাধিক মালিকানা প্রদান, বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ন জমির নথিপত্র গায়েবসহ বাঙ্গালী ক্রেতা-বিক্রেতাদের ন্যায্য প্রক্রিয়া অস্বীকারের নানা ঘটনাও ঘটেছে।

এছাড়া, জমি ক্রয় বিক্রয়ে সৃষ্ট এই জটিলতায় ক্রেতা-বিক্রেতা হয়রাণি এড়াতে হেডম্যান রিপোর্টের মতো ঝামেলাপূর্ন পন্থায় অগ্রসর না হয়ে জমির মিউটেশন মামলায় অন্যান্যা সব দলিলাদির সাথে শুধুমাত্র হেডম্যান রিপোর্ট না দিয়ে এর পরিবর্তে রাঙামাটির বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ আদালতের দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৫৩/২০ এর রায়ের কপি জমা দেন। আদালতের রায়ের কপি সংযুক্ত করার পর উক্ত মিউটেশন মামলাগুলোতে আর কোন ধরনের জটিলতা থাকার কথা না থাকলেও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার সেখানে জটিলতা তৈরীর উদ্দেশ্যেই এমন একটি চিঠি মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছেন বলেই অনুমেয়। আদালতের স্বীকৃত রায়ের পরও হেডম্যান প্রতিবেদনের মতো প্রথাগত শর্ত আরোপ করা আদালত অবমাননার মত গুরুতর অপরাধও।

পাহাড়ের অধিকাংশ সাধারণ নাগরিক মনে করেন, বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ ও ৪২ অনুচ্ছেদে সকল নাগরিকের সমতা, বৈষম্যহীনতা, আইনের সমান সুরক্ষা ও সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত যে ধারা সন্নিবেশিত রয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন নাগরিকের জন্য স্থায়ী বাসিন্দা সনদ গ্রহন, হেডম্যান রিপোর্ট/প্রত্যয়ন গ্রহন, সংবিধানের সেই ধারার সাথে সম্পূর্ন সাংঘর্ষিক।

এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে, যদি বাজার ফান্ডের ওই সাধারন চিঠির মতো কাজল তালুকদারের চিঠিও মন্ত্রনালয়ে গিয়ে বছরের পর বছর ফাইল বন্দি থেকে যায় তবে কি রাঙামাটিতে বাঙ্গালীদের জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকবে? এমন সব আশঙ্কা থেকেই বলা যায়, সুদূরপ্রসারী এই অপকর্মের ফলে এখন শত চেষ্টা করেও বাঙ্গালিরা এখন আর হেডম্যান রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন না। ফলে কেউ বিপদে পড়ে চাইলে নিজ জমি বিক্রি যেমন করতে পারবেন না, কেউ চাইলে জমি ক্রয়ও করতে পারবেন না। ফলে বাঙ্গালীদের জমির মূল্য কমতে থাকবে ধীরে ধীরে, আর ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বীকার হতে হবে পাহাড়ের নিপীড়িত বাঙ্গালি সম্প্রদায়কে।

রাষ্ট্রবিরোধী আদিবাসী শব্দ ব্যবহার: অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন খোদ রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সংবিধানে সকল নাগরিকের সমতা, বৈষম্যহীনতা, আইনের সমান সুরক্ষা ও সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত থাকলেও, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ ও হেডম্যান রিপোর্টের মতো শর্ত বাস্তবে বৈষম্যমূলক বাধা হিসেবে কাজ করছে। আদালতের স্বীকৃত রায়ের পরও এসব প্রথাগত শর্ত আরোপ শুধু আইনের পরিপন্থী নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঙ্গালিদের ভূমির অধিকার সীমিত করার কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এভাবে জমি ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া স্থবির হলে বাঙ্গালি জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, সংবিধান ও বিচার বিভাগের কর্তৃত্ব খর্ব হবে এবং পাহাড়ে বৈষম্য আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। তাই অবিলম্বে এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রশাসনিক শর্ত বাতিল ও ভূমি লেনদেন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর খাগড়াছড়ির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের এক চিঠির প্রেক্ষিতে প্রশাসন পার্বত্য চট্টগ্রামের বাজার ফান্ড এলাকার বন্ধকী ঋণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। শতবর্ষ ধরে চালু থাকা এ ব্যবস্থায় প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসায়ী উপকৃত হতেন। বাজার ফান্ডের আওতায় ব্যবসায়ীরা প্লট বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন, কিন্তু বর্তমানে জেলা প্রশাসনের মর্টগেজ রেজিস্ট্রি না করায় ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করতে পারছে না। ফলে ১২৪টি বাজারের প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঋণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে শতাধিক ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আর্থিক সংকটে পড়ে ব্যবসা গুটিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা বিষয়টিকে ‘আমলাতান্ত্রিক প্যাঁচ’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিন জেলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা ও তৎকালীন প্রশাসকরা ঋণ প্রদানে ইতিবাচক মত দিলেও সমাধান আসেনি। ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, বাজার ফান্ড প্লটের বন্ধক প্রক্রিয়া চালু না হলে স্থানীয় অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে এবং পাহাড়ে অভাব-অনটন দেখা দিতে পারে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

You may have missed