বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে ৩ নম্বর সঙ্কেত
 
                 
নিউজ ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায়। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সৈয়দপুরে ৮৩ মিলি মিটার।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের উপর সক্রিয় রয়েছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিতে পারে। তবে নিম্নচাপে রূপ নেয়ার শঙ্কা নেই। আগামী দু-তিন দিন অধিকাংশ জায়গায় ভারী বর্ষণ হতে পারে। এরপর লঘুচাপের প্রভাব কেটে যাবে।
আবহাওয়াবিদ জানান, লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে সাগরে থাকা সব ধরনের নৌযানকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
