অরুণাচল সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের - Southeast Asia Journal

অরুণাচল সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চীনকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

অরুণাচল প্রদেশে চীনের অনুপ্রবেশের ঘটনায় দেশটিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের এ ধরণের কর্মকাণ্ড ভারত কখনও মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অরুণাচল সীমান্তে গত বেশ কয়েক বছর ধরে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে চীন। ইতোমধ্যে ভারতীয় সীমান্তের কিছু এলাকা তারা দখল করছে এবং সেসবকে নিজেদের বলে দাবি করেছে।’

‘ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিষ্কারভাবে চীনের ক্ষমতাসীন সরকারকে জানাচ্ছে যে- এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম ভারত কখনও মেনে নেবে না। তাছাড়া, অরুণাচল সীমান্তের যেসব এলাকা চীন নিজেদের বলে দাবি করছে, সেগুলো আসলে ভারতের। তাই ভবিষ্যতে কোনো প্রকার ভিত্তিহীন দাবি না করার জন্য চীনের সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে ভারত।’

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য প্রদেশ অরুণাচলের সঙ্গে সীমান্ত আছে চীনের। গত বছরের শেষদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অরুণাচলের একটি দুর্গম এলাকা দখল করে গ্রাম বানিয়েছে চীন। সেই গ্রামে অন্তত ১০০টি বাড়ি বা আবাসিক ভবন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা বিভাগ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অরুণাচলের সেই গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় সামরিক বাাহিনীর সদস্য ও সরঞ্জামের মজুত বাড়াচ্ছে চীন।

প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যে অঞ্চলে চীন গ্রামটি তৈরি করেছে, সেটি একটি বিতর্কিত এলাকা। কারণ, এই এলাকার কিছু অংশ চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের এবং বাকি অংশের প্রকৃত অধিকারী ভারত। সীমান্ত নির্ধারণ আইন বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) লঙ্ঘণ করে সেখানে গ্রাম বানিয়েছে চীন।’

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসে সেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী চীনা গ্রামটি অরুণাচল প্রদেশের সুবানশিরি জেলায় সারি চু নদীর তীরে অবস্থিত।

ওই এলাকায় অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরে একটি ছোট সেনা ছাউনি ছিল চীনের। সে সময় ভারতও তাতে কোনো আপত্তি জানায়নি।

কিন্তু সেনা ছাউনির আশপাশের এলাকায় একটি পুরোদস্তুর গ্রাম তৈরি করেছে চীন- এই সংবাদ যখন ২০২০ সালে প্রকাশিত হলো- তখন ব্যাপারটিকে আমল দিতে বাধ্য হয়েছে ভারত।

একই বছর, জম্মু-কাশ্মিরের লাদাখ অঞ্চলে গালাওয়ান উপত্যকায়ও সীমান্ত নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘাতে জড়িয়েছে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনী। তাতে দুপক্ষেই হতাহত হয়েছেন শতাধিক।

মূলত গত বছর থেকেই সীমান্ত নিয়ে দু’দেশের মধ্যে তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।